অমান্য: করোনা বিধি অমান্য করে ডাক্তারির ভর্তির ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
সরকারি নির্দেশে দু’সপ্তাহ ধরে চলতি শিক্ষাবর্ষে ডাক্তারি স্তরের পড়ুয়াদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। গত মঙ্গলবার থেকে এ রাজ্যের কোটায় পড়ুয়াদের ডাক্তারি স্তরে ভর্তি নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, করোনা বিধি অমান্য করে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়ার কাজ চলছে। ভর্তি প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলীপকুমার পালের ঘরের পাশে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের ভিড় উপচে পড়ে। অভিযোগ, তাঁদের অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না।
দিলীপ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ বিদ্যুত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি নির্দেশেই পড়ুয়াদের ডাক্তারি স্তরে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরার ব্যাপারে সচেতন করেছেন। কেউ সচেতন না হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছু করণীয় নেই।”
হাসপাতালের তৃণমূল অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত মল্লিক বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের করিডরের ছোট জায়গায় ভর্তি প্রক্রিয়া চালু রাখায় করোনা বিধি অমান্য হচ্ছে। সংগঠনের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হাসপাতালের লেকচার থিয়েটার বা বড় কোনও ঘরে ভর্তি প্রক্রিয়া সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।”
করোনা আবহে ছোট জায়গায় ভর্তি প্রক্রিয়া চালু রাখার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
গত বছর অগস্টে ১০০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারি স্তরের পঠনপাঠন শুরু হয়। করোনা আবহের জেরে সরকারি নির্দেশে গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে ডাক্তারি স্তরের পঠনপাঠন বন্ধ করে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি নির্দেশে গত ৬ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ভিন্ রাজ্যের কোটার পড়ুয়াদের প্রথম দফার ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ রাজ্যের কোটার ৮৫ জন পড়ুয়ার ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের তৃণমূল প্রভাবিত রোগী পরিষেবা কেন্দ্রের কর্ণধার বাবন সাহা বলেন, “করোনা আবহে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সামনেই ডাক্তারি স্তরে ভর্তিকে কেন্দ্র করে বুধবার পড়ুয়া ও অভিভাবকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। সামাজিক দূরত্বের কোনও বালাই ছিল না। অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না। ফলে সেখান থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে। হাসপাতালেই করোনা বিধি অমান্য হচ্ছে, অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নীরব রয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy