Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
পঞ্চায়েত সমিতিতে ভাঙনের আশঙ্কা

কংগ্রেস সভাপতিকে সরাতে অনাস্থা রতুয়ায়

ফের ভাঙনের মুখে মালদহের রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস চালিত বোর্ড। সভাপতিকে সরাতে দলীয় সদস্যরা অনাস্থা পেশ করলেও এর পিছনে শাসকদলের ষড়যন্ত্র দেখছেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১৫
Share: Save:

ফের ভাঙনের মুখে মালদহের রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস চালিত বোর্ড। সভাপতিকে সরাতে দলীয় সদস্যরা অনাস্থা পেশ করলেও এর পিছনে শাসকদলের ষড়যন্ত্র দেখছেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ। শুক্রবার সভাপতির বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের কাছে অনাস্থা পেশ করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৬ জন কংগ্রেস সদস্য। তারপরেই অবশ্য বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে শুরু হয়েছে ঘরে ফেরানোর পালা। ঘর সামলাতে প্রয়োজনে সভাপতিকে পদত্যাগ করানো হতে পারে বলেও দলীয় নেতৃত্বের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

চাঁচলের মহকুমাশাসক পুষ্কর রায় বলেন, ‘‘রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হয়েছে। আইন মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। পুজোর পরে অনাস্থার সভা ডাকা হবে।’’

পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ আসনের ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেসের ২১, সিপিএমের ২ ও তৃণমূলের একটি আসন রয়েছে। সভাপতি কংগ্রেসের তাজিবর রহমান। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই সভাপতির সঙ্গে কয়েকজন সদস্যদের বিরোধ চরমে উঠেছে। সভাপতিকে পদ থেকে অপসারিত করার দাবি নেতৃত্বকে জানিয়েও ফল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে সরাতে অনাস্থা পেশ করেন ১৬ সদস্য।

বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর এক কংগ্রেস সদস্য আব্দুস সালাম অবশ্য দাবি করেন, ‘‘সভাপতি নানা বিষয়ে দুর্নীতি করছেন। তাকে সতর্ক করা হলেও তিনি শোনেননি। বাধ্য হয়েই অনাস্থা পেশ করা হয়েছে। আমরা কংগ্রেসেই রয়েছি।’’

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাজিবর রহমানের অবশ্য দাবি, ‘‘দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। সভাপতি আমিই থাকব। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মেটানোর চেষ্টা চলছে।’’

যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে দলীয় সদস্যদের আনা অনাস্থার পিছনে শাসকদলের ষড়যন্ত্র দেখছেন ব্লক কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, লোভ দেখিয়ে কংগ্রেস সদস্যদের ভাঙিয়ে বোর্ড দখলের চেষ্টা শাসকদলের নতুন নয়। চাঁচল মহকুমায় কংগ্রেস সদস্যদের ভাঙিয়ে তাঁদের দখলে থাকা ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। বামেদের হাতে থাকা দু’টি পঞ্চায়েত সমিতিরও দখল নিয়েছে শাসকদল। এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। বোর্ড দখল হলেই বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসীরা শাসকদলে যোগ দেবেন।

রতুয়া-২ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি নিমাই বসাক জানান, সভাপতির কাজকর্ম নিয়ে কিছু সদস্যের আপত্তি রয়েছে। যাতে সমস্যা মেটে তা আমরা দেখছি।

ব্লক তৃণমূল নেতা মহম্মদ নৈমুদ্দিন অবশ্য বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসীরা তৃণমূলে যোগ দেবেন, এমনটাও আমার জানা নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Congress president
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy