ধনেপাতাতেই ঝরবে ওজন। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানো কঠিন নয়, যদি পদ্ধতি হয় সঠিক। ডায়েট, শরীরচর্চা, বাইরের খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখা— এমন নানা সাধনা শেষে তবে হয়তো কয়েক কেজি ওজন কমানো সম্ভব হয়। কিন্তু এই প্রতিটি ধাপই সময়সাপেক্ষ। অবশ্য চটজলদি রোগা হওয়ার হাজার একটা উপায় আছে, সেটাও নয়। শীতের বাজারে সবুজের আভা ছড়াচ্ছে কচি ধনেপাতা। পার্শে মাছের ঝোল থেকে পাঁচমিশেলি সব্জির তরকারি, ধনেপাতার আনাগোনা আমিষ থেকে নিরামিষে। তবে ঝাঁঝালো অথচ মন ভাল করে গন্ধে মাখা এই পাতা কি ওজন কমাতেও সাহায্য করে? দেখা যাক।
বিপাকহার বৃদ্ধি করে
ধনেপাতা শরীরের বিপাকহার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিপাকহার বেশি হলে হজমজনিত গোলমাল হওয়ার সুযোগ থাকে না। আর হজম ঠিকঠাক হলে বাড়তি মেদ জমতেও পারবে না। জমে থাকা ক্যালোরিও দ্রুত ঝরতে শুরু করবে।
খাওয়ার প্রবণতা কমায়
‘বিঞ্জ ইটিং’ ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ধনেপাতা এই প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। কারণ ধনেপাতায় রয়েছে ফাইবার, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। যে কারণে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমে।
মেদ ঝরায়
ধনেপাতায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এই উপাদান জমে থাকা মেদ খুব সহজেই ঝরিয়ে ফেলে। ফলে ডায়েটে যদি ধনেপাতার শরবত খেতে পারেন, তা হলে রোগা হওয়া সহজ এবং মসৃণ হবে।
শরীর টক্সিনমুক্ত রাখে
জমে থাকা টক্সিন, ওজনের পারদ উর্ধ্বগামী হওয়ার অন্যতম কারণ। ধনেপাতে শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। শরীরে জমে থাকা বর্জ্যপদার্থ বাইরে বার করে দেয় এই পাতা। টক্সিনমুক্ত শরীর পেতে চাই ধনেপাতার উপর ভরসা রাখা যাতে পারে।
কী ভাবে খাবেন?
বেশ কয়েক আঁটি কচি ধনেপাতা প্রথমে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। এর পর পাতাগুলি ছাড়িয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। থকথকে মিশ্রণটি ছাঁকনিতে ঢেলে ভাল করে ছেঁকে নিলে যে বেরোবে নির্যাস। সামান্য গোলমরিচ মিশিয়ে সেই পানীয়ে চুমুক দিলেই, কমবে ওজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy