পরিদর্শন: কোচবিহার বিমানবন্দরে সাংসদ িনশীথ প্রামাণিক। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহার থেকে বিমান চলাচল শুরু করতে আসরে নামলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। রবিবার তিনি কোচবিহার বিমানবনন্দর পরিদর্শন করেন। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কোচবিহারের ডিরেক্টর বিল্পব মণ্ডলের সঙ্গে বৈঠকও করেন। রানওয়ে ঘুরে দেখে নিশীথ জানান, সাংসদ হওয়ার পরে তিনি প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কোচবিহার থেকে বিমান চলাচলের উপরে জোর দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন বলে দাবি নিশীথের। তিনি বলেন, “এতদিন বিমানবন্দর চালু করার পিছনে ছিল রাজনীতি। ভোটের আগে আগে তা নিয়ে চর্চা হত। সদিচ্ছার অভাব ছিল। এ বারে এতটুকু বলতে পারি, খুব শীঘ্রই খুশির খবর পাবেন কোচবিহারবাসী।” এআইআইয়ের কোচবিহারের ডিরেক্টর বলেন, “ছোট বিমান চলাচলের জন্য বিমানবন্দর প্রস্তুত আছে। যে কোনও সময় বিমান চলাচল শুরু করা যেতে পারে।”
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ দিন ম্যাপ দিয়ে সাংসদকে জানিয়ে দেন কী কী সমস্যা রয়েছে। বিমানবন্দরের বর্তমান রানওয়ে ১০৬৯ মিটার। এই রানওয়েতে ছোট বিমান চলাচল করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২৬ আসনের বিমান চলতে পারবে। তবে ১৮ আসনের বিমান চলাচলে কোনও সংস্থা খুব একটা উৎসাহী নয়। এর আগে ভর্তুকি দিয়ে ১৮ আসনের বিমান চলাচল শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে যায়। বিমানবন্দরে ডিরেক্টর জানান, রানওয়ে আরও ১৩০ মিটার বাড়ানো হলে ৪২ আসনের বিমান ওঠানামা করতে পারবে। বর্তমানে সেই কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে চান তাঁরা। সাংসদ যে বিষয়ে আশ্বাস দেন।
বিমানবন্দর ঘেঁষেই মরা তোর্সা নদী। নদীর উপরে রানওয়ে আরও ৪৬০ মিটার তৈরি করা হলে ৭২ আসনের বিমান ওঠানামা করতে পারবে। তা নিয়ে উদ্যোগী হওয়ার কথাও জানান সাংসদ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, আগে রানওয়ে বাড়ানোর জন্য টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। পরে প্রকল্পের খরচ বেশির জন্যে ১৫ কোটি টাকা ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy