ক্ষোভ। বালুরঘাটে নিজস্ব চিত্র।
সদ্য চাকরি পেয়েছিলেন ৫৭ জন প্রাথমিক শিক্ষক। কিন্তু জেলায় পার্শ্বশিক্ষক পদ নেই বলে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের সেই ৫৭ জন প্রাথমিক শিক্ষক মঙ্গলবার বালুরঘাটে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা পার্শ্বশিক্ষক নন। পুরো সময়ের শিক্ষকই। তা হলে কী করে তাঁদের পার্শ্বশিক্ষকদের কোটায় ঢোকানো হল?
চাকরি থেকে সদ্য বরখাস্ত ওই প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তপনের তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। এ দিন বাচ্চুবাবু বলেন, এ জেলায় প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকের কোনও পদ ছিল না। ভুল করে পার্শ্বশিক্ষক কোটায় ওই শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয় বলে দাবি করে তিনি আশ্বাস দেন, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং সংসদ সচিবের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ওই ৫৭ জনের যাতে চাকরি না যায়, তা দেখা হচ্ছে। পার্শ্বশিক্ষকের কোটা থেকে ওদের সাধারণ কোটায় এনে পুনর্নিয়োগের চেষ্টা হচ্ছে।’’
শাসক দলের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চুবাবুর ওই বক্তব্য ঘিরে বিরোধী শিক্ষকমহলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এবিপিটিএ শিক্ষক সমিতি সভাপতি অভিমন্যু দে-র অভিযোগ, ‘‘পার্শ্বশিক্ষকের কোটা না থাকা সত্ত্বেও কী করে এত জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হল? নিয়োগের আগে একাধিকবার প্রার্থীদের শংসাপত্র সহ যাবতীয় নথি পরীক্ষা হয়। তখন কেন বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেল?’’
বাচ্চুবাবু অনিয়ম আড়াল করার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করে ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে এবিপিটিএ।
নবনিযুক্ত ওই শিক্ষকদের বরখাস্তের চিঠি ডাকযোগে পাঠায় জেলা প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ দিন নবনিযুক্ত ওই শিক্ষকেরা স্কুলে গেলেও তাঁদের হাজিরা খাতায় সই করতে দেওয়া হয়নি। এরপরই তাঁরা বালুরঘাটে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
সদ্য চাকরি হারানো প্রাথমিক শিক্ষক ওয়াসিম সরকার, বাবন দত্ত, শিক্ষিকা সোমা মজুমদারেরা দাবি করেন, চাকরির আবেদন করার সময় তাঁদের অধিকাংশই পার্শ্বশিক্ষকের ঘরে টিকই দেননি। সমস্ত কাগজপত্র দেখে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে নিয়োগপত্র দেন। প্রায় এক মাস চাকরি করার পর অন্যায় ভাবে তাঁদের বরখাস্তের ওই আদেশ কর্তৃপক্ষকে বাতিল করতে হবে তাঁরা দাবি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy