জঞ্জাল সাফাইয়ে বরাদ্দ হওয়া নয়া কম্প্যাক্টর।—নিজস্ব চিত্র।
দূষণমুক্ত পরিবেশ বজায় রেখে শহরের জঞ্জাল দ্রুত সাফাইয়ের জন্য রায়গঞ্জ পুরসভাকে দু’টি কম্প্যাক্টর গাড়ি বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১৮ মে কেন্দ্রের স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের অধীনে বরাদ্দ করা ওই দু’টি গাড়ি রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা অভিযানে প্রকল্পের মাধ্যমে পুরসভায় এসে পৌঁছেছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এক একটি গাড়ির দাম ২৬ লক্ষ টাকা। আগামি জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জঞ্জাল অপসারণের কাজে গাড়ি দু’টিকে রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাস বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত একটি এজেন্সি আগামী তিন বছর গাড়ি দু’টিকে চালানোর জন্য প্রশিক্ষিত চালক ও খালাসি নিয়োগ করেছে। পুরসভার পরিচালনায় তাঁরা জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে রায়গঞ্জে এসে কাজে যোগ দেবেন।’’ ভবিষ্যতে তাঁরাই পুরসভার গাড়ি চালক ও খালাসিদের গাড়ি দু’টি চালানোর ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেবেন বলে জানান তিনি।
পুরসভার চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্তের দাবি, দু’টি কম্প্যাক্টরের মাধ্যমে দূষণমুক্ত পরিবেশ বজায় রেখে খুব কম সময়ে প্রতিদিন শহরের জঞ্জাল অপসারণ ও আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পুর এলাকার ৫০ হাজার জনসংখ্যা পিছু একটি করে কমপ্যাক্টর গাড়ি বরাদ্দ করে। রায়গঞ্জ পুর এলাকার জনসংখ্যা এক লক্ষের বেশি হওয়ায় বরাদ্দ হয়েছে দু’টি গাড়ি।
পুরসভা সূত্রের খবর, এখন প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দু’টি ভাগে শহরের ২৫টি ওয়ার্ডে জঞ্জাল অপসারণের কাজ করে পুরসভা। প্রতিদিন সকালে পুরসভার সাফাইকর্মীরা ভ্যানগাড়ি নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করেন। এরপর তাঁরা শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে কসবা মোড় পর্যন্ত মোট ১৫টি জায়গায় অস্থায়ী ভ্যাটে সেইসব আবর্জনা জমা করেন। দুপুরে পুরসভার ট্রলি ট্রাক্টর ও ঢাকনাযুক্ত চেন ট্রাক্টর মিলিয়ে ৮টি গাড়ি সেখান থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে বন্দর এলাকার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে আসে। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার কেজি আবর্জনা সংগ্রহ করে পুরসভা। অন্যদিকে, পুরসভার আরেকদল সাফাইকর্মী সকালে ও বিকালে শহরের রাস্তার ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আবর্জনা সাফাই করে সেগুলি ঠেলাগাড়িতে বোঝাই করে অস্থায়ী ভ্যাটে জমা করেন।
পুরসভার জনস্বাস্থ্য আধিকারিক সুদেব দাস জানান, এক একটি কম্পেকটর গাড়ি প্রতিটি অস্থায়ী ভ্যাট থেকে গড়ে ৫০০ কুইন্টাল করে আবর্জনা সংগ্রহ করে সেগুলি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলতে পারবে। ফলে প্রতিদিন খুব দ্রুত শহরের জঞ্জাল অপসারণের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, জঞ্জাল অপসারণের কাজে ব্যবহৃত ট্রলি ট্রাক্টরগুলির ঢাকনা না থাকায় আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার সময়ে কখনও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে, কখনও ট্রাক্টরগুলি থেকে আবর্জনা ও নোংরা জল পড়ে শহরে দূষণ ছড়ায়।
কম্প্যাক্টর গাড়িগুলি ভ্যাট থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করার সময়ে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আবর্জনা পিষে দূষিত জলকে নিকাশি নালায় ফেলে দেবে। তখন সাফাই কর্মীরা নিকাশি নালার আশপাশ এলাকা সাফাইয়ের কাজ করবেন।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজবাবু জানান, কম্প্যাক্টর গাড়ির মাধ্যমে ভবিষ্যতে দিনে দু’বার শহরের অস্থায়ী ভ্যাটগুলি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলার পরিকল্পনাও নেওয়া হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy