অন্দর: সার্কিট বেঞ্চের ভিতরের সাজসজ্জা। নিজস্ব চিত্র
সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু হবে আজ, সোমবার থেকে। এখন থেকে শহরে বিচারপতি, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, প্রশাসনিক কর্তাদের আনাগোনা লেগেই থাকবে। বাড়বে ব্যস্ততাও। এই পরিস্থিতিতে শহরের যা পরিকাঠামো তাতে প্রয়োজনীয় চাহিদা কতটা মিটবে তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ।
হোটেল ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, জলপাইগুড়ি শহরে ‘স্টার’ মর্যাদার হোটেল রয়েছে মাত্র তিনটি। আর সব মিলিয়ে শহরে হোটেলের সংখ্যা ১২টি। পুরসভা, পূর্ত দফতর, সেচ দফতর, জেলা পরিষদ-সহ কয়েকটি সরকারি দফতরের অতিথিশালাও শহরে রয়েছে। এর পরেও শহরে থাকা, খাওয়া, যাতায়াতের জন্য পরিকাঠামো উন্নয়ন জরুরি বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। তা মাথায় রেখেই পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ শুরুর পরিকল্পনা করছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)। বেশকিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুও। শহরের এক হোটেল ব্যবসায়ী সুশোভন সরকার বলেন, ‘‘সার্কিট বেঞ্চ চালু হওয়ায় আমাদের ব্যবসা বাড়বে। ফলে পরিকাঠামোর উন্নতিও দরকার। হোটেল ঢেলে সাজতে অনেকেই উদ্যোগী হচ্ছেন। আমরা আশাবাদী বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থাও এ বার শহরে হোটেল তৈরিতে বিনিয়োগ করবেন।’’
এসজেডিএর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সার্কিট বেঞ্চের কথা ভেবে তাঁরা শহরের কম্পোজিট কমপ্লেক্সে একটি চারতলা অতিথি নিবাস তৈরি করবেন। সেখানে ভিআইপিদের থাকার যাবতীয় বন্দোবস্ত থাকবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের সুলভে থাকার ব্যবস্থাও করা হবে। ওই অতিথি নিবাসে ১০০ জনেরও বেশি থাকতে পারবেন। আইনজীবীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান হয়েছে। সৌরভ জানিয়েছেন, আইনজীবীরা যাতে মক্কেলদের সঙ্গে একান্তে আলোচনা করতে পারেন তার বন্দোবস্তও করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘অতিথি নিবাস তৈরির জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ডিপিআর তৈরি হয়ে গিয়েছে। টেন্ডার করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু করা হবে।’’ শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা সংস্কারের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে এসজেডিএর কাছে পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে বলে সৌরভ জানিয়েছেন। শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নেও কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছে এসজেডিএ।
মোহন বসু বলেন, ‘‘জঞ্জাল অপসারণ, শহর পরিচ্ছন্ন রাখা, অত্যাধুনিক বাতিস্তম্ভ বসানোর মত বেশকিছু কাজ গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে। পুরসভার দু’টি অতিথিশালা, একটি এসসি-এসটি হস্টেল রয়েছে। সেগুলোয় শতাধিক মানুষ একসঙ্গে থাকতে পারেন। অতিথিশালাগুলোর মানোন্নয়নের কাজ করা হবে।’’
শহর সাজানোর পরিকল্পনাও ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত করা হবে বলে তাঁর আশ্বাস। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, বিচারপতিদের থাকার জন্য জুবিলি পার্ক এলাকায় সুদৃশ্য আবাসন তৈরি করে দিয়েছে তাঁর দফতর। দিনবাজারও নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য পুরসভা পরিকল্পনা পাঠালে সেগুলো তিনি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন বলেও তাঁর আশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy