অশোক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
দুই দশকের বেশি সময় অশোক ভট্টাচার্য রাজ্যের বাম সরকারের পুরমন্ত্রী। আবার কখনও পুর নিগমের মেয়র, পুরসভার চেয়ারম্যান বা সাধারণ বিধায়ক হিসাবে থেকেছেন। একটা সময় নিজের কাকা কংগ্রেসি ঘরানার জগদীশ ভট্টাচার্যকে পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখেছেন। এর পর জ্যোতি বসু তো বটেই, পাশাপাশি প্রণব মুখোপাধ্যায় থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এমনকি সত্যজিৎ রায়ের মতো মানুষের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। সেইসব কথা, রাজ্যের পুর আইন প্রণয়ন-সহ নানা অভিজ্ঞতার কথা এ বার বইয়ের পাতায় তুলে ধরছেন অশোক। আজ, সোমবারই প্রকাশিত হতে চলেছে তাঁর লেখা বই ‘আমার দেখা তিন দশক’। ভূমিকা লিখেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব অশোকমোহন চক্রবর্তী।
লেখক অশোকের কথায়, ‘‘বইটা আমার স্ত্রী রত্নার উদ্দেশ্যে লেখা আমার তিন দশকের অভিজ্ঞতা। বলা ভাল, আমার মতো একটা সাধারণ পরিবারের ছেলের শিলিগুড়ির সুভাষপল্লি থেকে মহাকরণের অলিন্দে বিচরণের কিছু গল্প। সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে গুণী মানুষদের সংস্পর্শে নানা পরামর্শ পেয়েছি। এসব নিয়েই বইটা।’’
গত বছর অশোকের স্ত্রী রত্নাদেবী মারা যান। তাঁর আগে বেশ কিছু সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন। শিলিগুড়ি, কলকাতা সর্বত্র স্ত্রীকে নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেন প্রাক্তন মেয়র। তাঁর আগে মে মাসে শেষ হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন। ভোটে হারের পর তিনি দল আর বাড়ির কাজেই সময় কাটাচ্ছিলেন। সেই সময় অসুস্থ স্ত্রীর পাশে বসে লেখালেখি শুরু করেন। বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় লেখা ছাড়াও টুকরো টুকরো নানা অভিজ্ঞতা কাগজে লিখতে থাকেন। সত্যজিতের শ্যুটিংয়ে গিয়ে কী হয়েছিল বা প্রণব মুখোপাধ্যায় দিল্লিতে ডেকে কী বলেছিলেন সবই লিখছিলেন। সঙ্গে টানা পুরমন্ত্রী হিসাবে তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও।
জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ড, ভিয়েতনাম বা চিন সফরে শিলিগুড়ির পরিচয় কী ভাবে করিয়েছিলেন তা মনে করে লিখে রাখেন। অশোক বলেন, ‘‘স্ত্রী প্রথমে বলেছিল, কী সব বসে বসে লেখো কে জানে! সত্যিই কী লিখি পরে ওঁকে বলি। অনেক অজানা কথা লিখছি। শুনে রত্না খুব উৎসাহ দিয়েছিল। ১৫ জানুয়ারি ওঁর জন্মদিন গেল। রাজনীতির বাইরে গিয়ে এসব কাজ করছি দেখলে হয়তো আরও খুশি হত।’’
অশোক প্রথম শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন ১৯৮৭ সাল নাগাদ। ১৯৯১ সাল থেকে টানা চার দফার পর ২০১৬ সালে আর একবার শিলিগুড়ির বিধায়ক হন। জ্যোতি বসুর মন্ত্রিসভায় পুরমন্ত্রী হিসাবে শুরু করে বামফ্রন্ট সরকারের পতন অবধি তিনিই রাজ্যের পুরমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৫ সালে তৃণমূল জমানায় তাঁর নেতৃত্বেই বামফ্রন্ট পুরসভার ক্ষমতা দখল করে। তিনি মেয়র হন। করোনাকালে পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সনও হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy