প্রকল্প: কলাবাগান হাইস্কুলের সঞ্জয় মাহাতো। নিজস্ব চিত্র
তোর্সার জল দূষণ রোধের ‘দাওয়াই’ নিয়ে কোচবিহারের স্কুল পড়ুয়াদের তৈরি প্রকল্পের সচিত্র তালিকা প্রদর্শিত হবে জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে। ডিসেম্বর মাসের ২৭-২৯ তারিখে গুজরাতের আমদাবাদে ওই কংগ্রেসের আসর বসছে। রাজ্যের একাধিক জেলার পড়ুয়াদের তৈরি সেরা প্রকল্পগুলির মধ্যে ঠাঁই পেয়েছে কোচবিহার কলাবাগান হাইস্কুলের ছাত্রদের তৈরি প্রকল্প।
সেই সুবাদেই জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে প্রকল্প তৈরির সঙ্গে যুক্ত দলনেতা সঞ্জয় মাহাতো। সঞ্জয়ের সঙ্গে যাচ্ছেন ‘গাইড টিচার’ সরকার। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর তারা কোচবিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখান থেকে রাজ্য দলের সঙ্গে আমদাবাদ যাবেন তাঁরা। কলাবাগান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অরূপ সোম বলেন, “পড়ুয়াদের তৈরি প্রকল্প অন্যতম সেরা হিসেবে রাজ্যস্তরের স্বীকৃতি পেয়েছে।”
স্কুল সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রকল্পে সামিল পড়ুয়া মোট ৫ জন। তাদের সঞ্জয় মাহাতো, অমিত বিন, পাপ্পু সাহা, শুভম বর্মন ও সোহম রায়। সোহম নবম শ্রেণির ছাত্র। বাকিরা সবাই দশম শ্রেণির পড়ুয়া। জেলাস্তরে প্রথম প্রতিযোগিতা হয় গত সেপ্টেম্বরে। সেখানে যোগদানকারী স্কুলগুলির মধ্যে সাতটি স্কুলের প্রকল্প রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়। নভেম্বরে কলকাতায় রাজ্য শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসেও অন্যতম সেরা স্বীকৃতি পায় প্রকল্পটি। প্রকল্পের গাইড শিক্ষক অমিতাভ সরকার বলেন, “কোচবিহার জেলার একমাত্র স্কুল হিসেবে আমাদের ছাত্রদের তৈরি প্রকল্প জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করার কথা।” তিনি জানান, ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক জাতীয় স্তরের ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক।
প্রকল্পটিতে ঠিক কী বিষয় রয়েছে? স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়ারা সমীক্ষা করে দেখেছে কোচবিহার শহরের বিভিন্ন নিকাশির জল সরাসরি তোর্সা নদীতে পড়ছে। দূষণ কমানোর পাশাপাশি মাছ চাষের সুযোগও মিলবে। প্রথমে নালার জল একটি নির্দিষ্ট জলাশয়ে জমানো হলে ভারী ধাতু, আবর্জনা থিতিয়ে পড়বে। সেটা ফের নালার মাধ্যমে অন্য জলাশয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তার পরে কম্পন তৈরি করলে তেল জাতীয় মিশ্রণ ভেসে উঠবে। তৃতীয় স্তরে ওই জল আরেকটি জলাশয়ে রেখে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে শোধন করে ইট, বালি, পাথর, চারকোল মিশ্রণের মধ্যে প্রবাহিত করে নদীতে ফেলা হলে জল অনেকটাই পরিস্রুত হবে। তাতে নদী দূষণ কমবে। পড়ুয়াদের দাবি, মডেলের মাধ্যমে নিকাশির জল ওই পদ্ধতিতে শোধন করে ভাল ফল মিলছে। প্রকল্পের দলনেতা সঞ্জয় মাহাতোর কথায়, “প্রজেক্ট চার্ট, ফাইল সব কিছুই তৈরি হয়েছে।” আর এক পড়ুয়া অমিত বিনের বক্তব্য, “নিকাশি নালার জল শোধন প্রকল্প মানলে নদীও বাঁচবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy