সতর্কতা: চূড়াভাণ্ডারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার মাঠে পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র
আজ, শুক্রবার উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে পৌঁছনোর আগেই তাঁর সঙ্গে দু’মিনিট কথা বলারও সুযোগ পেয়েছেন দাড়িভিট কাণ্ডে নিহত দুই যুবকের পরিবারের লোকজর। বিজেপি সূত্রেই এই খবর জানা গিয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়েই এই মুহুর্তে মুখ খুলতে নারাজ নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের পরিবারের সদস্যরা।
বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলা সহসভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরেই যোগাযোগ করা হচ্ছিল। এ দিন সবুজ সঙ্কেত পেতেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’’
শুক্রবার উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে বিকেল তিনটায় সভা করবেন মোদী। বিজেপি নেতৃত্বদের দাবি, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিহত পরিবারের লোকেদের দেখা করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। মোদীর সঙ্গে দেখা হতে পারে জানার পরে বৃহস্পতিবারই জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকেই তা জানানো হয় দুই পরিবারকে।
বিজেপি সূত্রে খবর, নিহত রাজেশ ও তাপসের পরিবারের সদস্য সহ এলাকার অনেকে গেলেও সেখানে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন নিহত রাজেশের বাবা নীলকমল সরকার ও তাপসের বাবা বাদল বর্মন।
বিজেপির নেতৃত্বের একাংশ অবশ্য জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এক ঘণ্টার জন্য এই এলাকাতে সভা করতে আসছেন। কাজেই সেখানে বেশি সময় পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হেলিকপ্টার থেকে নেমে মঞ্চ ওঠার আগেই হেলিপ্যাডে কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাবেন। সেখানেই ওই দলের সঙ্গে থাকবেন নিহত রাজেশ ও তাপসের বাবা। সেখানে কথা বলবেন তারা।
ওই দুই মিনিটে রাজেশ, তাপস খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিও পেশ করবেন ওই দুই পরিবারের সদস্যরা। যদিও এই বিষয়টি নিয়েই এই মুহূর্তে মুখ খুলতে নারাজ নিহত পরিবারের সদস্যরা। নিহত রাজেশের বাবা নীলকমল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসছেন জানি, তবে তাঁর সঙ্গে দেখা করানোর বিষয়টি এখনও কিছু জানানো হয়নি আমাদের।’’
বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলার সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ দিন বিকেলেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অমিত শাহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলা হয়েছে। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। বিকেল নাগাদ এর পরই সিদ্ধান্ত হয়, মঞ্চে ওঠার আগে ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেই সৌজন্য সাক্ষাৎকার করবেন।’’
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের মালদহে জনসভা করেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহ। সেখানে দাড়িভিট থেকে নিহত দুই পরিবারের সদস্যরা গেলেও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। মঞ্চের সামনে বসার জায়গা করে দিলেও দেখা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়নি। কাজেই ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হয়েছিল তাঁদের। বিজেপির নেতৃত্ব অবশ্য কেউ কেউ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রোটোকল মেনেই চলতে হয়। সেখানে মঞ্চের সামনে দেখা করানোর সুযোগ হয় না। তাই মালদহের অমিত শাহের মতো যাতে ঘটনা না হয়, তাই আগে থেকেই যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy