প্রতীকী চিত্র
সপ্তম শ্রেণির গণ্ডি পেরতেই বাড়িতে হাজির পাত্রপক্ষ। বছর তেরোর পাত্রীকে পছন্দ হয়ে যায় তাঁদের। কিন্তু বিয়েতে রাজি ছিল না ওই কিশোরী। স্কুলের দ্বারস্থ হয় পুরাতন মালদহের মুচিয়ার মেয়েটি। তার সেই লড়াইয়ের কাহিনি ফুটে উঠল রূপোলি পর্দায়। মঙ্গলবার মালদহে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে তার নিজের কথা নিয়ে তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিনেমা সবাইকে দেখাল নাফিসা খাতুন।
ওই সিনেমা তৈরিতে নাফিসাকে সাহায্য করেন পুরাতন গৌড় মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী, হবিবপুরের কলাপি বর্মণ। তিনি বলেন, ‘‘নাফিসার মতো আমার জীবনেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। যাতে আর কারও সঙ্গে এমন না হয় সেই বার্তা দিতেই ওই সিনেমা।’’
দু’বছর ধরে মালদহে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। সিনে কলকাতা, ইউনিসেফ এবং ‘তালাশ’ নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে জেলায় শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। উৎসবে পড়ুয়াদের বিভিন্ন সিনেমা দেখানোর পাশাপাশি অনুষ্ঠানের আয়োজনের দায়িত্বও ছোটদের উপরেই দেওয়া হয়। আয়োজকেরা জানান, এ বারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল যে ছোটরাই সিনেমা তৈরি করবে। এমনকী, নিজেরাই গল্প খুঁজে লিখবে। ক্যামেরা থেকে শুরু করে অভিনয়, এডিটিং সমস্ত কিছুই করবে অল্পবয়সীরাই। পরিচালক দেবাশিস সেনশর্মা বলেন, ‘‘সমাজের নানা সমস্যার কথা সিনেমায় তুলে ধরেছে পড়ুয়ারা।’’
এ দিন দুপুরে মালদহের সানাউল্লাহ মঞ্চে শুরু হয় উৎসব। সেখানে মালদহের মহকুমাশাসক (সদর) সুরেশচন্দ্র রানো, শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান চৈতালি ঘোষ সরকার হাজির ছিলেন। চৈতালি বলেন, ‘‘নাফিসা এবং কলাপিদের তৈরি সিনেমা গ্রামগঞ্জেও দেখানো হলে জেলায় বাল্যবিবাহ আরও বেশি করে রোধ করা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy