সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের (এমআর) প্রবেশ বন্ধ করতে সুপারকে নির্দেশ দিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর৷ আজই জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হাসপাতাল সুপারকে এই নির্দেশ দেন৷
আর পাঁচটা সরকারি হাসপাতালের মতই জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেও প্রতিদিনই মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের দেখা যায়৷ মূলত হাসপাতালের আউটডোরেই তাঁরা বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের কোম্পানির ওষুধের গুণাগুণ তুলে ধরেন৷ কিন্তু সরকারি হাসপাতালে এ ভাবে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের প্রবেশ ঠেকাতে অনেক দিন ধরেই ভাবনা-চিন্তা চালাচ্ছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর৷ শেষ পর্যন্ত আজ এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সরাসরি নির্দেশই পাঠিয়ে দিল তারা৷
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, “সরকার এক দিকে যখন হাসপাতালে ফ্রি সার্ভিস চালু করার দিকে এগচ্ছে, তখন হাসপাতালে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের এ ভাবে নিজেদের প্রডাক্ট চিকিৎসকদের সামনে তুলে ধরা কোনও অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না৷ তাই এই নির্দেশ৷ আগামী কাল থেকেই যাতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের প্রবেশ বন্ধ হয় সুপারকে সেই কথাই বলেছি৷”
হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘‘সরকারি হাসপাতালে ওষুধ নিয়ে রাজ্য সরকারারের যে নীতি রয়েছে তা কার্যকর হওয়াটা জরুরি৷ সে জন্য হাসপাতালে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের প্রবেশও বন্ধ হওয়া উচিত ৷ এটা যাতে বাস্তবায়িত হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে এ বার সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হবে৷’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভররা প্রতিদিন হাসপাতালে আসেন, আগামীকাল থেকে হাসপাতালে প্রবেশের মুখেই তাঁদের ফিরে যেতে অনুরোধ করবো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ওই মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটভরা যে সব চিকিৎসদের সঙ্গে দেখা করেন, তাঁদেরও অনুরোধ করা হবে, হাসপাতাল চত্বরে তাঁরা যেন রিপ্রেজেন্টেটিভদের সঙ্গে দেখা না করেন৷ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও আগামীকাল সকাল থেকেই মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের হাসপাতালে প্রবেশ না করার অনুরোধ জানাবেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই অনুরোধে কাজ না হলে আগামী দিনে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy