মন্ত্রী উদয়ন গুহ। —ফাইল চিত্র।
যত দিন অভিজিৎ দে ভৌমিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি থাকবেন, তত দিন দলে তাঁকে মেনে চলতে হবে। নাম না করে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায়ের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। একই বক্তব্য জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, গিরীন্দ্রনাথ বর্মণদেরও। অভিযোগ, তৃণমূলেরই একটি অংশ অভিজিৎকে জেলা সভাপতি হিসেবে মানতে চাইছেন না। যে অংশে রয়েছে দলে বিরোধী-গোষ্ঠী বলে পরিচিত রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায়। উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘দল যাঁকে দায়িত্ব দেবে, তাঁকে মেনে চলতে হবে। এই কথা আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছি। অভিজিৎ দে ভৌমিক এখন দলের জেলা সভাপতি। তিনি আমাদের নেতা। সবাইকে তাঁকে মেনে চলতে হবে।’’
দলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘দলে অনেকেই জেলা সভাপতিকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। আমি এই বিষয়ে কারও নাম নিতে চাই না। তবে সবাইকে দলের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।’’ অভিজিৎ অবশ্য এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করার চেষ্টা করছি।’’
জেলা তৃণমূল শিবিরে এখন ‘বিরোধী গোষ্ঠী’ বলে পরিচিত তৃণমূলের কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং পার্থপ্রতিম রায়। কিছু দিন ধরে তাঁদের দু’জনকে এক সঙ্গে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। আবার দলের ঘোষিত কিছু কর্মসূচিতে দু’জনকে দেখা যাচ্ছে না। উদয়নের বার্তা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ মুখ না খাললেও, পাল্টা আক্রমণ করেছেন পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, ‘‘এমন কথা আসছে কেন সেটাই বুঝতে পাচ্ছি না। দলের কিছু কর্মসূচিতে আমাদের ডাকা হয়নি তাই যোগ দিতে পারিনি। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও আমি কিছু সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। তাতে তো কারও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।’’
কোচবিহারে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চরমে উঠেছে। এক পক্ষে অভিজিৎ, উদয়ন ছাড়াও রয়েছেন সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তাঁদের অনুগামীদের দাবি, অন্য পক্ষে থাকা রবীন্দ্রনাথ ও পার্থ দলের মধ্যে আর একটি দল তৈরির চেষ্টা করছেন। তাঁরা প্রকাশ্যেই দলের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy