আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন, তাঁদের আঙুল ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। দিনহাটার বিধায়ক তথা মন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যের সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা। অন্য দিকে, মন্ত্রী আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-খুনের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের তুলনা টেনেছেন।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের ফাঁসির দাবিতে শনিবার কোচবিহার জেলা জুড়ে পথে নেমেছিল তৃণমূল। কোচবিহার সদর, দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ— সর্বত্রই বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ সংঘটিত হয়। কোচবিহারের সাগরদিঘিতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন বলেন, ‘‘এই ঘটনায় যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলছেন, যাঁরা সমাজমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি করছেন, যাঁরা আঙুল তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাইছেন, সেই আঙুলগুলোকে চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। না-হলে এরা বাংলাকে বাংলাদেশ তৈরি করবার চেষ্টা করবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু, ওঁরা জানেন না হাসিনা যে ভুল করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভুল করবেন না, করেননি। তাই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ওই ভাবে ভাঙচুর করার পরেও পুলিশ গুলি চালায়নি। পুলিশ এখানে বাংলাদেশ করতে দেবে না। সরকার এখানে বাংলাদেশ করতে দেবে না। তৃণমূলের কর্মীরা সাধারণ মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাকে বাংলাদেশ করতে দেবেন না।’’
আরও পড়ুন:
উদয়নের এই বক্তব্যের পর কটাক্ষ করেন জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায়। তিনি বলেন, ‘‘হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন রাস্তায় নেমে। রাত দখল করেছেন মহিলারা। ওই কর্মসূচিতে কত লোক হয়েছিল! তিনি (উদয়ন) কয়টা হাত ভাঙবেন? কার আঙুল ভাঙবেন। এমন যেন না হয়। আগামী দিনে ওঁর (উদয়ন) আঙুলও যেন ঠিক থাকে।’’ বিজেপি নেতার সংযোজন, ‘‘পুলিশের মদতেই সব হচ্ছে। সেদিন (১৪ অগস্ট রাতে) আরজি করে যদি বিরোধী দলের লোক থাকতেন, তাহলে পুলিশ গুলি করত।’’