উদ্ধার হওয়া সোনা। —নিজস্ব চিত্র।
ট্র্যাক্টরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ছিল সোনার বাট। বিএসএফের নজর এড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে এ দেশের কারবারির কাছে সোনা পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। যদিও বিএসএফের কড়া নজরদারিতে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। ট্র্যাক্টর থেকে ১১০৫ গ্রামের দু’টি সোনার বাট বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফের ৭৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা। উদ্ধার সোনার বাজারমূল্য প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। পাচারের চেষ্টার অভিযোগে বিএসএফের হাতে পাকড়াও তিন জনকে।
বিএসএফ জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্র মারফত তারা খবর পায় ইন্ডিয়া ওয়ান বিওপি এলাকা দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করা হবে। তৎক্ষণাৎ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার বিশেষ দল পাঠান। অন্য জওয়ানদেরও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিভিন্ন ওপি পয়েন্টে শুরু হয় চিরুনিতল্লাশি। ওই তল্লাশি চলাকালীন ছয় নম্বর ওপি পয়েন্টে সীমান্তের মাঠ থেকে আসার সময় একটি ট্র্যাক্টর দাঁড় করানো হয়। ট্র্যাক্টরচালকের চোখেমুখে অস্বস্তি দেখে সন্দেহ হয় জওয়ানদের। বেশ কিছু ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে ট্র্যাক্টরের ট্রলির অ্যাক্সেল হাব থেকে সোনা পাওয়া যায়।
চালক-সহ ট্র্যাক্টরে থাকা আরও দু’জনকে জওয়ানেরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। কিন্তু, সদুত্তর না মেলায় তাঁদের আটক করে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিন জন সোনা পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেন বলে দাবি। জিজ্ঞাসাবাদে চালক এ-ও জানান, কৃষক হিসাবে নিজের পরিচয় দিয়ে দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে সীমান্তে গিয়েছিলেন। সেখানকার ‘ক্যারিয়ার’-এর থেকে সোনা নিয়ে ট্র্যাক্টরে ভারতে ঢুকছিলেন। ইতিমধ্যে ধৃত তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা। বাজেয়াপ্ত সোনাও ওই দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারে ডিআইজি (জনসংযোগ) একে আর্য ওই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘‘চোরাচালান রুখতে বিএসএফ বদ্ধপরিকর। সীমান্তের বাসিন্দাদের সোনা পাচার সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য বিএসএফের ‘সীমা সাথী’ হেল্পলাইনে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার জন্য তথ্যদাতাকে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। তাঁর পরিচয়ও গোপন রাখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy