Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

বেঁচে থাকতে সেতু হবে তো, ক্ষোভ রবির

দুই দিনাজপুর সফর সেরে বুধবার মালদহ সফরে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের অর্থে যে সব কাজ চলছে জেলা, সেগুলি দেখতে এ দিন সকাল সকাল তিনি বেরিয়ে পড়েন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ০২:৫২
Share: Save:

জীবদ্দশায় সেতু দেখে যেতে পারবো তো— মানিকচকের শঙ্করটোলা ঘাটে ভূতনি সেতুর কাজ দেখে বুধবার সকালে এমনই খেদোক্তি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের।

রবিবাবু বলেন, গত বছর এসে যা কাজ দেখেছিলাম এখনও সেই জায়গাতেই সেতুর কাজ দাঁড়িয়ে আছে। এ নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার লোকজনকে ডেকে কবে কাজ শেষ হবে তা জানতে চান। তাঁরা অবশ্য মন্ত্রীকে জানান, আগামী বছরের মে মাস নাগাদ সেতুর কাজ শেষ করা যাবে। তবে কালিয়াচকে সুজাপুর পলিটেকনিক কলেজের নির্মীয়মাণ ভবনের কাজ দেখে মন্ত্রী খুশি। পরে প্রশাসনিক বৈঠক করে মালদহ জেলায় চলা দফতরের অর্থে বিভিন্ন কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। এ জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। সময়ে কাজ না শেষ হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে জরিমানা করারও ইঙ্গিত দেন মন্ত্রী।

দুই দিনাজপুর সফর সেরে বুধবার মালদহ সফরে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের অর্থে যে সব কাজ চলছে জেলা, সেগুলি দেখতে এ দিন সকাল সকাল তিনি বেরিয়ে পড়েন। প্রথমে যান মানিকচক কলেজে। সে সময় সেখানে বিডিও এবং কলেজের এক জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছাড়া কাউকেই দেখতে পাননি তিনি। ওই কর্মচারীই তালা খুলে কয়েকটি ঘর দেখান। বিদ্যুতের কিছু সমস্যার কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রীর কাছে।

এর পরে মন্ত্রী যান শঙ্করটোলা ঘাটে। সঙ্গে ছিলেন দফতরের প্রধান সচিব বরুণ রায়, মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। সেই কাজ দেখেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘গত বছর এই বর্ষার সময়েই এসেছিলাম। তখন যা দেখেছিলাম, এখনও কাজ সেই জায়গাতেই আটকে। অগ্রগতি কিছুই তো দেখছি না। বেঁচে থাকতে সেতু দেখে যেতে পারবো তো?’’

ভূতনির এই সেতু এলাকার লোকেদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বলছেন, মন্ত্রীর এমন মন্তব্যও তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর আগের জমানায় কাজে যে গতিতে চলত, সেটা যে এখন হবে না, তিনি বারবার সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন।

সেতু দেখে রবীন্দ্রনাথ যান কালিয়াচকের সুজাপুর পলিটেকনিক কলেজের কাজ দেখতে। বেলা ১টা থেকে মালদহের জেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সভাকক্ষে তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বলেন, মালদহে দফতরের প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার কাজ চলছে। কিন্তু কাজের অগ্রগতি ভাল নয়। কাজ যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা যায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এজেন্সিগুলি একসঙ্গে একাধিক কাজ নিয়ে বসে থাকছে। ফলে কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে না। এর পর থেকে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না করলে জরিমানা করা হতে পারে।

এ দিন মালদহ জেলা প্রশাসনের তরফে প্রায় ৬৬ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজের প্রস্তাব মন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাস্তাঘাটই বেশি। তিনি আরও ২৫ কোটি টাকার কাজের প্রস্তাব দিতে বলেছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy