ছবি পিটিআই
বুথে বুথে ভোটারের আঙুলে লাগানো হয় রং। ভিন্ রাজ্য ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিতকরণে সেই রঙই এখন ভরসা প্রশাসনের।
শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিন্ রাজ্য থেকে মালদহ টাউন স্টেশনে এসে পৌঁছয় ১৪টি ট্রেন। তাতে প্রায় চারশো পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ফেরেন। অভিযোগ, তাঁদের কারও লালারসের নমুনা সংগ্রহ না করেই শুধুমাত্র হাতে রঙ লাগিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নিজের নিজের এলাকার কোয়রান্টিন কেন্দ্রে।
এতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠছে প্রশ্ন। ভিন্ রাজ্য ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ না করেই কেন স্টেশন থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে? অভিযোগ, অনেক পরিযায়ী শ্রমিককে রাখা হচ্ছে হোম কোয়রান্টিনেও।
কালিয়াচকের সুজাপুরের কংগ্রেসের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত জেলায় যত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, কার্যত সকলেই ভিন্ রাজ্য থেকে জেলায় ফিরেছেন। কারও কোনও উপসর্গ ছিল না। পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। কিন্তু, প্রশাসন পরীক্ষা না করেই তাঁদের বাড়িতে বা গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছে।” যদিও প্রশাসনের দাবি, সকলেরই লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। সে জন্য তাঁদের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছয়। তাতে মালদহ ছাড়াও দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদের যাত্রী ছিলেন। ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীরা যাতে এদিক ওদিক ছড়িয়ে না যান, সে জন্য মোতায়েন ছিল রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী এবং রেল পুলিশ। অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মুম্বই, নয়াদিল্লি, কেরল, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানার মতো রাজ্য থেকে মালদহে আসে ট্রেনগুলি। তার পরে ভিন্ জেলার যাত্রীদের বাসে করে গন্তব্যে পাঠানো হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন্ জেলার প্রায় দেড়শো যাত্রীকে বাসে করে পাঠানো হয়েছে। মালদহের বাসিন্দা ছিলেন শ’চারেক।
প্রথম দিকে, ভিন্ রাজ্য ফেরত যাত্রীদের স্টেশনেই লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। এখন পরীক্ষা না করেই শুধুমাত্র হাতে রং দিয়ে পাঠানো হচ্ছে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘হাতে রং দেওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে। পরে প্রত্যেকেরই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’’ মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অশোককুমার মোদক বলেন, “বাসে তাঁদের নিজের নিজের এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy