খড়ির উনুনে রান্না নিজস্ব চিত্র।
একেই গত তিন মাস ধরে মিড-ডে মিল রান্নার খরচ মিলছে না বলে অভিযোগ। তার উপর গত দু’মাসে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রায়গঞ্জ শহরের বেশির ভাগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ খরচ কমাতে গ্যাস ওভেনের বদলে খড়ি দিয়ে উনুন জ্বালিয়ে গর্ভবতী মহিলা, প্রসূতি ও শিশুদের জন্য মিড-ডে মিল রান্নার কাজ শুরু করেছেন।
অভিযোগ, গত তিন মাস রায়গঞ্জ শহরের বেশিরভাগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মিড-ডে মিল রান্নার মশলাপাতি, ডিম, আনাজ ও জ্বালানির খরচের বিল পাচ্ছেন না। রায়গঞ্জ শহরে ১১০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। সেইসব, কেন্দ্রে মিড-ডে মিলে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে খিচুড়ি ও ডিম সেদ্ধ কিংবা ভাত ও ডিমের ঝোল খাওয়ানো হয়। বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে খড়ি জ্বালিয়ে মিড-ডে মিল রান্না করা হচ্ছে। এ দিন জেলায় একেকটি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৯৮ টাকা।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, প্রতি মাসে রান্নার মশলাপাতি, ডিম, আনাজ ও জ্বালানি প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কর্তৃপক্ষ নিজেদের টাকা খরচ করে কেনেন। পরের মাসে প্রশাসনের তরফে ওই খরচ তাঁদের মিটিয়ে দেওয়া হয়। প্রতি ৩০ জনের মিড-ডে মিলের রান্না পিছু প্রতিদিন ১৮ টাকা করে পান। সেই টাকা দিয়েই বেশিরভাগ অঙ্গনওয়াড়ি গ্যাস সিলিন্ডার কেনেন। একটি গ্যাস সিলিন্ডার একেকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দুই থেকে আড়াই মাস চলে।
তৃণমূল প্রভাবিত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের সংগঠনের জেলা সভানেত্রী পম্পা ঘোষ পাল বলেন, ‘‘রায়গঞ্জ শহরের বেশিরভাগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গত তিন মাস ধরে মিড-ডে মিল রান্নার খরচ পাচ্ছে না। ফলে ধার-দেনা মেটাতেও রান্নার খরচ কুলাতে না পেরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি নতুন করে বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ১১০০ টাকা বর্ধিত দামে সিলিন্ডার কেনা সম্ভব হচ্ছে না।’’ জেলার সুসংহত বিকাশ প্রকল্পের এক কর্তা বলেন, ‘‘রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রশাসনের নেই। তবে জেলার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিল মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy