লিখিত অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। খুনের মামলায় তদন্ত করছে না কালিয়াচক থানার পুলিশ। এমনই অভিযোগ নিয়ে মালদহ জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন মৃত যুবকের মামার বাড়ির সদস্যেরা। তাঁদের আশা, এ বার সুবিচার পাবেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কালিয়াচক থানার মোজামপুরে ২০ বছর বয়সি যুবক রাজ মোমিনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়িতে। বাবা-কাকারা দাবি করেন, আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। যদিও রাজের মামার দাবি ভিন্ন। তাঁর অভিযোগ, ভাগ্নেকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। আর খুন করেছেন রাজের বাবা এবং কাকা। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও করেন মৃতের মামার বাড়ির সদস্যেরা। তার পর দু’সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। উল্টে অভিযুক্তেরা তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ যুবকের মামার।
রাজের মায়ের সঙ্গে বাবা সরফরাজ মোমিনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে অনেক দিন আগে। ছেলে বাবার কাছেই থাকতেন। বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। কিন্তু অশান্তির সূত্রপাত সরফরাজের দ্বিতীয় বিয়ের পর। রাজের মামার অভিযোগ, ভাগ্নে বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মানতে পারেননি। বাবাকে সে কথা বলার পর উল্টে ছেলের উপর ‘অত্যাচার’ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তিনি ছেলের মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছেন। রাজের কাকারাও ওই খুনের সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন মামা। প্রৌঢ়ের কথায়, ‘‘এমন অভিযোগের পরেও অদ্ভুত ভাবে কালিয়াচক থানার পুলিশ নিষ্ক্রিয়। সরফরাজ এবং ভাইদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ। এখন আমাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে ওরা (সরফরাজ এবং তাঁর পরিবার)। তাই কালিয়াচক থানার পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করে পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়েছি আমরা।’’
এ নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে জেলা পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।