অপেক্ষায় গাড়ি। ওদলাবাড়িতে। নিজস্ব চিত্র
রামনবমীর পরে এ বার হনুমান জয়ন্তী। সেই উপলক্ষে মিছিলের জেরে শনিবার দিনভর উত্তরবঙ্গের নানা এলাকায় যানজটে জেরবার হলেন বাসিন্দারা। মালবাজারের কাছে ওদলবাড়ি এলাকায় জাতীয় সড়ক আটকে দীর্ঘ সময় ধরে বাইক মিছিল চলে। সেখানে দেখা যায়, অ্যাম্বুল্যান্সেও ধর্মীয় পতাকা লাগিয়ে মিছিলে সামিল করা হয়েছে। ফলে, শিলিগুড়ি-সেবক-মালবাজার সড়কে দীর্ঘ সময় আটকে থাকে যানবাহন। পুলিশের সামনে জাতীয় সড়ক আটকে কী ভাবে মিছিল হল সেই প্রশ্নে নিত্যযাত্রী, গাড়িচালকদের অনেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের দাবি, শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্মীয় মিছিল হওয়ায় তা আটকানো যায়নি। তবে মিছিলের কারণে যে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে তা পুলিশের অনেকেই একান্তে মানছেন। জলপাইগুড়ির এক পুলিশ কর্তা জানান, ওদলাবাড়ি-মালবাজার রাস্তায় কেন জাতীয় সড়ক আটকে মিছিল হয়েছে তা থানার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ দিন সকাল থেকে নানা এলাকায় হনুমান জয়ন্তীর মিছিল শুরু হয়। ডুয়ার্সের শামুকতলা হনুমান মন্দিরের উদ্যোগে শনিবার সকালে কলস যাত্রা হয়। এলাকার প্রায় ২০০ মহিলা এই কলস যাত্রায় অংশ নেন। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরেও নানা এলাকায় মিছিল, শোভাযাত্রা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, অনেক ক্ষেত্রেই বিনা অনুমতিতে মিছিল হয়েছে। তবে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের পতাকা নিয়ে মিছিল হয়নি বলে পুলিশের দাবি।
মালবাজার প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওদলাবাড়ি থেকে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সামিল হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তৃণমূলের মালবাজারের এক নেতা জানান, ওই মিছিলে সব দলের লোকজনই সামিল হয়েছেন। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে ওই মিছিল হয়নি বলে এলাকার বিজেপির নেতারাও দাবি করেছেন। কিন্তু, সব দলের লোকজন থাকলেও কেন জাতীয় সড়ক আটকে মিছিল করে দীর্ঘ সময় ওই পথের যাত্রীদের দুর্ভোগে ফেলা হল সেই প্রশ্ন উঠেছে। মালবাজার থানার কয়েকজন অফিসার জানান, যানজটের বিষয়টি জানার পরেই উদ্যোক্তাদের কাছে রাস্তা কিছুটা ছেড়ে মিছিল করার অনুরোধ করা হয়। মিছিলের উদ্যোক্তাদের পক্ষে জানানো হয়েছে, অত্যুৎসাহীদের কয়েকজন গোটা রাস্তা জুড়ে হাঁটায় ভোগান্তি হয়ে থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy