ভূপতিত: ঝড়ে ভেঙে পড়েছে টিনের চাল। ছবি: রাজকুমার মোদক
দশ মিনিটের ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হল ধূপগুড়ির পুরসভা এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায়। ঘর-বাড়ি ভেঙে যাওয়ার সঙ্গেই ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথমে তীব্র গতিতে ঝড় শুরু হয়। মিনিট দশেক ঝড় চলার পর শুরু শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টিতে ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোরা পঞ্চায়েত ও বারোঘরিয়া অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের পাট চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাট গাছের আগায় শিল পড়ে বিঘার পর বিঘা জমির পাট গাছ ভেঙে যায়।
ধূপগুড়ি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও ১২ ওয়ার্ডে ঝড়ের দাপটে গাছ ভেঙে পড়েছে। কোথাও ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে যায়, কোথাও ঘরের উপর, বাড়িতে থাকা গাড়ির উপর গাছ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধূপগুড়ি থানায় এক বিশাল কাঁঠাল গাছ ভেঙে পড়ে এক এসআইয়ের আবাসনের উপর। বড় গাছ থাকায় আবাসনটির অর্ধেক অংশ গুঁড়িয়ে যায়। এসআই সে সময় আবাসনে না থাকায় বেঁচে যান। আবাসনের পাশে থাকা দু’টি মোটরসাইকেলের ক্ষতি হয়। ডাঙাপাড়ায় ঝড়ের দাপটে গুড়িয়ে যায় কাশী রায়, কাজল রায়-সহ আরও অনেকের কয়েকটি বড় বড় মুরগির খামার ও বেশ কিছু ঘর-বাড়ি। কাশী রায় বলেন, “দমকা ঝড়ে আমার ১৩৫ ফুট লম্বা মুরগি খামারটি উড়ে যায়। আমার উর্পাজনের পথ ওই মুরগি খামার। এখন কী করে চলব তা ভেবে পাচ্ছি না।” সাঁকোয়াঝোরার বাসিন্দা পিন্টু সোম বলেন, “ঝড়ের দাপটে আমার ঘর ও পাট খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”
ক্ষতির হিসাব নিতে বিডিও ও কৃষি দফতরের কর্মিরা এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন। ক্ষতির পরিমান কত তা এখনি বলা সম্ভব নয় বলে ধূপগুড়ির সহকারি কৃষি অধিকর্তা দেবাশিষ সর্দার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ঝড়ে কী ক্ষতি হয়েছে তা পুরোপুরি এখনই বলা সম্ভব নয়। কর্মিরা এলাকা ঘুরছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy