ছবি: সংগৃহীত।
কাটমানি বিতর্কে আলিপুরদুয়ার পুরসভার তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরদের সঙ্গে দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের দূরত্ব বেড়েই চলছে। খোদ তৃণমূল সূত্রের খবর, শনিবার জেলা নেতাদের ডাকা বৈঠক বয়কট করার পর বিদায়ী কাউন্সিলরদের একাংশ এ বার দল ছাড়ার কথা ভাবতে শুরু করেছেন। এমনকি, কেউ কেউ আবার বিজেপিতে না গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াইয়ের কথাও ভাবছেন বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। যার জেরে চাপ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর। প্রকাশ্যে অবশ্য এ ধরনের খবর তাঁদের কাছে নেই বলে দাবি করছেন তৃণমূলের জেলা নেতারা।
লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই আলিপুরদুয়ার জেলায় কাটমানি ও তোলাবাজি নিয়ে হইচই শুরু হয়। কিন্তু খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউন্সিলরদের নিয়ে কলকাতার নজরুল মঞ্চের সভায় কাটমানির অভিযোগ নিয়ে দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হলে আলিপুরদুয়ারে সেই বিতর্ক বেড়ে যায়। আলিপুরদুয়ারে কাটমানি প্রসঙ্গে অভিযোগ ওঠে কয়েক জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই অভিযোগের বিরুদ্ধে জেলা নেতারা শুরুর দিকে মুখ বন্ধ রাখায় ক্ষোভ জন্মাতে শুরু করে বিদায়ী কাউন্সিলরদের মধ্যে। দিন কয়েক আগে আলিপুরদুয়ারে দলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের সামনেও সেই ক্ষোভ উগরে দেন বিদায়ী কাউন্সিলরদের একাংশ। কিন্তু তারপরও দল বিষয়টি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওই কাউন্সিলরদের।
এই অবস্থায় গত শনিবার ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব বিভিন্ন ব্লকের নেতাদের নিয়ে আলাদা আলাদা করে বৈঠকের ডাক দিলেও ওই বৈঠক বয়কট করেন দলের আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লকের শীর্ষ নেতৃত্ব সহ নেতাদের একাংশ ও অনেক বিদায়ী কাউন্সিলর। ফলে বাতিল হয়ে যায় নির্দিষ্ট সেই বৈঠকটি। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, পরিস্থিতি এই মুহূর্তে যে দিকে এগচ্ছে, তাতে বিদায়ী কাউন্সিলরদের সঙ্গে দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের দূরত্ব ক্রমশ বেড়েই চলছে।
তৃণমূলের এক বিদায়ী কাউন্সিলর সাফ বলেন, ‘‘কাটমানি সংস্কৃতি আমাদের আলিপুরদুয়ার শহরে নেই। আমাদের কাউন্সিলরদের অনেকে বরং নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বও সব জানেন। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর অস্ত, এখনও পর্যন্ত তাঁদের এর বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও দেখা যায়নি। ফলে এই দলে থেকে কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না।’’ দলের আর এক বিদায়ী কাউন্সিলারের কথায়, ‘‘আমরা বিজেপিতে যাব না। তবে নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েও জেতার ক্ষমতা রাখি।’’
দলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, ‘‘কেউ দল ছাড়বেন বা আগামী পুর নির্বাচনে নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন, এমন কোনও কথা বিদায়ী কাউন্সিলারদের কেউ আমাদের জানাননি।’’ তবে দল তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানান মোহনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy