প্রতীকী ছবি।
ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা যদি শেষ পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকে তাহলে একঝাঁক বাম কাউন্সিলর এ বার দাঁড়াতে পারবেন না তাঁদের জেতা ওয়ার্ডে। তাঁদের মধ্যে রয়েছে একাধিক মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যান। রয়েছেন শিলিগুড়ি পুরসভার বর্তমান ডেপুটি মেয়র ও চেয়ারম্যানও। এমন ঘটনা পুর নির্বাচনে দলের উপর চাপ বাড়িয়েছে বলেই মনে করছেন দলের একাংশ।
অনেক ক্ষেত্রে ওই কাউন্সিলরদের একাংশকে অন্য ওয়ার্ড থেকে টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে দলের একাংশ জানিয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে বর্তমান কাউন্সিলরের পরিবারের কাউকে দাঁড় করানো হতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। শনিবারও সিপিএমের বৈঠক হয়। সেখানেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জীবেশ সরকার বলেন, ‘‘প্রতিবারই সংরক্ষণের কারণে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সিলর নিজেদের ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে পারেন না। তাঁদের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ বারও তা করা হবে।’’ তাঁর দাবি, সংরক্ষণের জন্য তাঁদের নির্বাচনী লড়াইয়ে কোনও খামতি থাকবে না। তবে বিধি মেনে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে খসড়া তালিকায় কিছু অসঙ্গতি নজরে পড়েছে। তা নিয়ে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান তিনি।
গত নির্বাচনে ২৩টি আসনে জিতলেও এক জন বাম কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা মেনে ২২টির মধ্যে ৭টিতে জয়ী বাম কাউন্সিলররা নিজেদের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। দলীয় নেতৃত্বের একাংশের দাবি, নিজের ওয়ার্ডে না দাঁড়াতে পারলেও ওই ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর দায়িত্ব বিদায়ী কাউন্সিলরকেই নিতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি অন্য কোনও ওয়ার্ডে টিকিট পেলে সেখান থেকে লড়বেন। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে এক দফা আলোচনা হলেও এখনও কথাবার্তা বেশিদূর গড়ায়নি। তার উপর খসড়া সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় সেটি খতিয়ে দেখে কী ভুল রয়েছে তা নিয়ে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাম ও কংগ্রেস দু’পক্ষই। ২০ জানুয়ারি কংগ্রেস এবং বাম জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আসন সংরক্ষণের যে খসড়া তালিকা প্রকাশ পেয়েছে তাতে কিছু ভুল নজরে পড়েছে। তা নিয়ে দ্রুত অভিযোগ জানানো হবে নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে। সংরক্ষণ তালিকা নিয়ম মেনে তৈরি চূড়ান্ত হলে সকলকে তা মেনেই চলতে হবে। আমাদের যেমন কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হবে তেমন তৃণমূল বা কংগ্রেসেরও সমস্যা রয়েছে।’’
খসড়া তালিকা চূড়ান্ত হলে কংগ্রেসের চার জন কাউন্সিলরের মধ্যে তিন জন নিজেদের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। সেই কারণ দেখিয়ে কংগ্রেস অন্য বেশ কিছু ওয়ার্ড চাইতে পারে বলে ধারণা বাম নেতৃত্বের। জেলা বামফ্রন্টের কয়েকজন নেতার কথায়, তাঁরাও জোটের আলোচনায় তাদের ডেপুটি মেয়র, চেয়ারম্যান-সহ মেয়র পারিষদের অনেকেই যে দাঁড়াতে পারছেন না তা তুলে ধরে বর্তমান বাম কাউন্সিলরদের প্রার্থী করাতে প্রয়োজনীয় ওয়ার্ডগুলো হাতে রাখতে সচেষ্ট হবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy