মারের চোটে ফুলে গিয়েছে হাত। নিজস্ব চিত্র।
বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে বিধায়ক পুত্রকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওই দুষ্কৃতীরা বিজেপি আশ্রিত। বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের গোসানিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দিনহাটা গোসানিমারি রাজ্য সড়কে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, ওই ঘটনায় সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার ছেলে কুন্তল বর্মা বসুনিয়া ছাড়াও তাঁর এক বন্ধুও আক্রান্ত হন। রাতেই কুন্তলকে নিয়ে যাওয়া হয় গোসানিমারি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসার পরে নিয়ে যাওয়া হয় সিতাইয়ের বাড়িতে। খবর পেয়ে বিধায়ক ব্লকের তৃণমূল নেতা নুর আলম হোসেন, মিঠুন চক্রবর্তী, রাখাল রায় ও অন্য দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দিনহাটা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। বিধায়কের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর ছেলেকে মারধর করে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা বলে তারা পাল্টা অভিযোগ তুলেছে। এই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিধায়ক পুত্র কুন্তল বলেন, ‘‘গত কালই কলকাতা থেকে ফিরেছি। সঙ্গে এক বন্ধু এসেছে। রাতে দিনহাটায় এক বন্ধুর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া সেরে মোটরবাইকে সিতাই ফিরছিলাম। গোসানিমারি পঞ্চায়েত দফতরের সামনে যেতেই একদল দুষ্কৃতী গালাগাল করতে শুরু করে। তারা বাইক দাঁড় করিয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। আমার এক বন্ধু এগিয়ে এসে আমি বিধায়ক-পুত্র জানানোর পরে আরও মারধর করে। ঘটনার পর থেকে আমার মানিব্যাগ, হাতের ঘড়ি এবং মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে না। দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে।’’
সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা রায় বসুনিয়া বলেন, ‘‘এর আগে আমার স্বামীর উপর আক্রমণ হয়। এ বার ছেলেকেও মারধর করা হল।’’ বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, “এর আগে ২০১৯ সালে গোসানিমারিতে আমার উপর আক্রমণ হয়েছিল। এ বার আমার ছেলের উপরে আক্রমণ করল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতিও সেখানে ছিলেন। পুলিশকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি।’’
বিজেপি নেতা বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে একটা ছেলে মার খেল, নাম জড়িয়ে দেওয়া হল বিজেপির।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy