আদালতে ধৃতরা। নিজস্ব চিত্র
স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করে মৃতদেহ রান্নাঘরের মেঝেয় পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। সোমবার রাতে রায়গঞ্জ স্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ হানিফ ও শীলা ভৌমিক। দু’জনেরই বাড়ি হেমতাবাদ থানার হরিনারায়ণপুর এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতদের রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলে পুলিশ। বিচারক তাদের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা চলছে।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমারের বক্তব্য, ‘‘ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করব না।’’
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম অলিভিয়া পারভীন (৩৪)। বছর ১৫ আগে হেমতাবাদের বালুফারা এলাকার বাসিন্দা তাঁর সঙ্গে হানিফের বিয়ে হয়। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। হেমতাবাদের মহীপুর এলাকায় হানিফের গ্যাস রিফিলিং ও মোবাইল ফোন মেরামতির দোকান। শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা হানিফের বাড়ির রান্নাঘরের মেঝের মাটির নীচ থেকে মানুষের দুটি পায়ের একাংশ বেরিয়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রান্নাঘরের মাটি খুঁড়তেই অলিভিয়ার মৃতদেহটি মেলে। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে পুলিশের কাছে হানিফ ও শীলার বিরুদ্ধে অলিভিয়াকে পিটিয়ে খুন করে মৃতদেহটি রান্নাঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন আগে হানিফের সঙ্গে প্রতিবেশী তরুণী শীলার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিছুদিন আগে হানিফ ওই তরুণীকে গোপনে বিয়ে করে নিজের বাড়িতে তোলে। এজন্য হানিফের সঙ্গে অলিভিয়ার গোলমাল বাধে। তার জেরেই হানিফ ও শীলা অলিভিয়াকে পিটিয়ে খুন করে তাঁর দেহটি রান্নাঘরের মেঝের মাটির খুঁড়ে পুঁতে দিয়েছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারী এক পুলিশ কর্তার দাবি, অলিভিয়ার মৃতদেহটি উদ্ধার হওয়ার পরেই হানিফ ও শীলা উধাও হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy