Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
MALDA

এক রাস্তার শিলান্যাসে দুই মঞ্চ

শেষমুহূর্তে একটি অনুষ্ঠান বাতিল হলেও, বাকি দুটি মঞ্চে ফিতে কেটে রাস্তার শিলান্যাস করেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মৌসম নুর। তবে দুটি অনুষ্ঠানের কোনওটিতেই দেখা যায়নি জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য মমতাজ বেগমকে।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:১১
Share: Save:

দলে দ্বন্দ্বের আঁচ পড়ল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুমেদপুরে রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানেও। রবিবার ওই রাস্তার শিলান্যাসের জন্য গড়া হয় তিনটি পৃথক মঞ্চ। একটি সরকারি উদ্যোগে। শেষমুহূর্তে একটি অনুষ্ঠান বাতিল হলেও, বাকি দুটি মঞ্চে ফিতে কেটে রাস্তার শিলান্যাস করেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মৌসম নুর। তবে দুটি অনুষ্ঠানের কোনওটিতেই দেখা যায়নি জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য মমতাজ বেগমকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের শিশাতলা থেকে কুমেদপুর বাইপাস পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ৯ কোটি টাকা ছ মাস আগে বরাদ্দের পর থেকে বিবাদের শুরু। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবির স্বামী আসরাফুল হক কাটমানি না পেয়ে রাস্তার কাজে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন জেলা পরিষদের সদস্য মমতাজ বেগমের স্বামী আমিনুল হক। মাস দুয়েক আগে দুপক্ষই হামলা ও পাল্টা হামলার অভিযোগ তোলে। গত বৃহস্পতিবার রাস্তার দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। তার পরে রাস্তার শিলান্যাসের আমন্ত্রণপত্র কেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নামে ছাপানো হল তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। জেলা পরিষদের কাজ হলেও কেন সেখানে স্থানীয় সদস্য বা জেলা পরিষদের পদাধিকারীর নাম রাখা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
প্রশাসনিক ও তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবার শিলান্যাস ঘিরে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেন আসরাফুল ও আমিনুল। এ দিন কুমেদপুর আইডিয়াল ক্লাবে সরকারি ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাস্তার শেষ অংশে কুমেদপুর বাইপাসে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন আসরাফুল। অন্যদিকে শিশাতলা এলাকায় পৃথক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেন আমিনুল। কিন্তু দলের একাংশের চাপে তাঁকে পিছু হটতে হয়। শিশাতলায় অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেন মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেতারা খাতুন। পরে বাইপাসের অনুষ্ঠান বাতিল করে উদ্যোক্তা আসরাফুল, তাঁর স্ত্রী জুবেদা বিবি সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির হন। কিন্তু দুটির কোনওটিতেই যাননি জেলা পরিষদ সদস্য মমতাজ বা তাঁর স্বামী আমিনুল।
বিডিও প্রীতম সাহা বলেন, সরকারি ভাবে একটিই অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে শিশাতলা থেকে রাস্তা শুরু হচ্ছে বলে সেখানেও অনুষ্ঠানের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। তাই গিয়েছিলাম।
মমতাজ বেগম বলেন, জেলা পরিষদের কাজ হলেও আমাকে কিছু জানানো হয়নি। জেলা পরিষদের কেউই অনুষ্ঠানে ছিলেন না বলে আমিও যাইনি।
রাজ্যসভার সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর অবশ্য এ সবে গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেন, আজ আনন্দের দিন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। আর মমতাজ কেন আসেননি জানি না। আমি খোঁজ নেব।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Malda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy