কোনও রকম প্রাণ বাঁচিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েন ওই লটারি ব্যবসায়ী। —প্রতীকী চিত্র।
লটারি ব্যাবসায়ীর পিছু নিয়ে তাঁর বাড়ির কাছে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। এর পর আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে স্কুটি থেকে নেমে বাড়ির সামনে একটি নিচু জায়গায় ঝাঁপ দেন তিনি। ব্যবসায়ীর চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হতেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আলিপুরদুয়ারের বারোবিশার ঘটনা।
লটারি ব্যবসায়ী রাজীব দাসের অভিযোগ, রবিবার রাতে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘রাতে ব্যবসার কাজ শেষ করে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় অজ্ঞাতপরিচয় ৩ যুবক একটি মোটর সাইকেলে আমার পিছু নেয়। বাড়ি ঢোকার গলির মুখে আমায় লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্ক়ৃতীরা।’’
রাজীব আরও বলেন, ‘‘দ্রুত গতিতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ির সামনে পৌঁছেছিলাম। পিছন পিছন ধাওয়া করে চলে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। নিজেকে বাঁচাতে বাড়ির পাশে একটু নিচু জায়গায় লাফ দিই। তার পর চিৎকার করি। আমার বাড়ির লোক বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।’’ এই দৃশ্য রাজীবের বাড়ির সিসি ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, তিন যুবক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে ধাওয়া করছেন ওই লটারি ব্যবসায়ীকে। কেন এই আক্রমণ? লটারি ব্যবসায়ীর অভিযোগ, এর পিছনে তাঁর দাদা গোপাল দাস থাকতে পারেন। তাঁকে প্রাণে মারতে ভাড়াটে খুনি পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে গোপালের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তখন থেকেই তিনি পুলিশের খাতায় পলাতক। সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলি-সহ একটি ম্যাগাজিন এবং একটি গুলির খোল উদ্ধার করেছে। রাজীবের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে তাঁর বাড়িতে যান আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শিলা দাস সরকার। তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করবে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বাইকও উদ্ধার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy