—প্রতীকী ছবি।
উন্নয়নের দাবির লড়াইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দার্জিলিং পাহাড়ে ‘ভূমিপুত্র’ই এ বারের ভোটের প্রধান লড়াইয়ের বিষয় হতে চলেছে। কার প্রার্থী কত বড় ‘ভূমিপুত্র’ তা প্রমাণ করতেই ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মরিয়া লড়াইয়ের আঁচ করছেন দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার বাসিন্দারা। গত কয়েক দফায় এই আসনে সাংসদ বরাবর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছেন, এমন প্রচার গত ক’দিন ধরে শুরুও হয়েছে। এমনকি, বিজেপি এমন কাউকে প্রার্থী করতে চলেছে যাঁকে মানুষ নাগালের মধ্যে পাওয়া তো দূরের কথা, তাঁকে সাংসদ এলাকায় দেখবেন কি না তা নিয়েও প্রচার চলছে।
রাজ্যের শাসক দলের তরফে বলা হচ্ছে, গত তিন দফায় বিজেপি একের পর এক দিল্লি থেকে প্রার্থী এনেছে। এর মধ্যে যশোবন্ত সিংহ দিল্লিতেই থাকতেন। সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াও মোটামুটি তাই। শেষে রাজু বিস্তাও দিল্লি থেকে আসছেন। এখানে নিজের বাড়িতে থেকে নিয়মিত কেউ কাজ করেননি। তাই এ বার তৃণমূল ও প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ‘ভূমিপুত্র’ প্রার্থী। প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থী তৈরি রয়েছে। সঠিক সময়ে জোটের প্রার্থীর ঘোষণা হবে। ভূমিপুত্র না হলে গোর্খাদের সঙ্গে সমতলের মানুষের পাশে সাংসদ থাকবে কী করে! নইলে সাংসদ তো মানুষ দেখতেই পাবে না।’’
পাহাড়ের নেতাদের দাবি, খুব বেশি বদল না হলে বিজেপি যে হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকেই প্রার্থী করতে চলেছে তা একপ্রকার ঠিকই। পাহাড়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক থাকলেও তিনি আদলতে দিল্লির লোক। সেখানেই তাঁর বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া, তাঁর স্তরের প্রার্থী সব কিছুতেই দিল্লি, কলকাতা নিয়ে কাজ করছেন। স্থানীয় স্তরে তাঁর যোগাযোগ একেবারেই কম। বিজেপি দলের একাংশ বিক্ষূব্ধদের নিয়ে তিনি ঘুরছেন। এখনই শাসক গোষ্ঠীর প্রকাশ্যে সমর্থন পাননি। প্রার্থী হলেও তিনি কতটা স্থানীয়দের নিয়ে কাজ করবেন তা নিয়ে দলের নেতানেত্রীরাই চিন্তায়।
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা কার্শিয়াঙের এক নেতার কথায়, ‘‘দার্জিলিং আসন বরাবর কেন বাইরের লোকের হাতে থাকবে, এই প্রশ্নটাই তোলা হচ্ছে। দলের কোর কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন সাফল্য, উন্নয়নের কাজ তো বটেই, প্রথমেই এ বার ভূমিপুত্র তকমা রেখেই প্রচার চলবে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপি শ্রিংলাকে নিয়ে ভাবার পরে অনীত থাপারা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা গোপাল লামাকে সামনে আনেন। দার্জিলিং জেলা মহকুমা শাসক থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসক, জিটিএ-র স্পেশাল অফিসার সব পদে তিনি কর্মরত ছিলেন। গোপাল লামার পরিচিতি এবং ‘ভূমিপুত্র’ তকমা মিলে যাওয়ায় তাঁকেই সম্ভবত প্রার্থী করা হচ্ছে। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা থেকে শুরু করে জেলার নেতারা এখনই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে দলের পাহাড়ের এক প্রবীণ নেতা বলেন, ‘‘ভূমিপুত্রের তকমা এ বার দলকে অস্বস্তিতে তো ফেলবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy