শিক্ষক সমাবেশে দেবেন্দ্রনাথ রায়। শনিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচনের মুখে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে দায়ের হওয়া অভিযোগের প্রতিলিপি ভোটারদের মধ্যে বিলির কাজও শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে জনসভা করে অভিযোগকারী তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মানহানির মামলা করার হুমকি দিলেন হেমতাবাদের সিপিএম প্রার্থী দেবেন্দ্রনাথ রায়।
পাশাপাশি, নিজেকে চক্রান্তের শিকার বলেও দাবি করলেন বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়বার বালিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান দেবেন্দ্রনাথবাবু। সিপিএম সূত্রের খবর, দেবেন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দলের অন্দরেও প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। সেইকারণে, দলের নির্দেশেই এ দিন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সিপিএমের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএর শিক্ষক সমাবেশে মরিয়া চেষ্টা চালালেন দেবেন্দ্রনাথবাবু।
শনিবার বিকালে হেমতাবাদ সদর এলাকায় ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে সিপিএম প্রার্থী ছাড়াও উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত, জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান অপূর্ব পাল, এবিপিটিএর জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী সহ কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের একাধিক নেতা হাজির ছিলেন।
দেবেন্দ্রনাথবাবুর দাবি, ‘‘তৃণমূল আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি যদি আর্থিক দুর্নীতি করেই থাকি তবে অনেক আগেই তা অডিটে ধরা পড়ত। নির্বাচনের মুখে তৃণমূল পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। তদন্তে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলে অভিযোগকারী তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।’’ তিনি জানান, ভোটাররা যাতে বিভ্রান্ত না হন, তারজন্য দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে এ দিন থেকে তিনি সমিতির আয় ব্যয়ের হিসেবের প্রতিলিপি ভোটারদের মধ্যে বিলির কাজ শুরু করেছেন।
হেমতাবাদের তৃণমূল প্রার্থী সবিতা ক্ষেত্রী ও দলের হেমতাবাদ ব্লক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দত্তের দাবি, দেবেন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের সারবত্তা না থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত শুরু হত না। তাই মানহানির মামলার হুমকি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান মনসুর আলি ও তৃণমূলের বিন্দোল অঞ্চল সভাপতি খলিলুর রহমান সহ ছয় তৃণমূল সমর্থক দেবেন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে জেলা সমবায় সমিতি দফতরের সহকারী নিবন্ধকের কাছে লিখিতভাবে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ জানান।
২০১৩ সালে জেলা উদ্যানপালন দফতরের তরফে বড়বার বালিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিকে পেঁপে, নারকেল সহ বিভিন্ন ফলগাছের চারা ও সার সরবরাহের জন্য বরাত দেওয়া হয়। মনসুরবাবু ও খলিলবাবুর দাবি, দেবেন্দ্রনাথবাবু ওই সংস্থাকে বেআইনিভাবে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা পাইয়ে দিয়েছেন। তারমধ্যে গ্রাহকদের ৭৫ লক্ষ টাকার কোনও হিসেব দেখাতে পারেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy