ছবি: সংগৃহীত
যত দিন যাচ্ছে জনসংখ্যা বাড়ছে শিলিগুড়ির, বেড়ে চলেছে যানবাহনও। কাজের সূত্রে বাইরে থেকে প্রচুর লোকের আনাগোনা হয় এই শহরে। সব মিলিয়ে চাপ বাড়ছে শহরের উপর। তা সামলাতে শহর আরও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন জনপ্রতিনিধি, বাসিন্দা সকলেই। পাশাপাশি শহর লাগোয়া এলাকায় বাড়ছে নগরায়ণ। তার জেরে শহরের উপকণ্ঠে আঠারোখাই, বাগডোগরার মতো এলাকা পুরসভায় উন্নীত করার দাবিও জোরদার হচ্ছে। কারণ লাগোয়া এলাকাগুলোয় যেভাবে নগরায়ণ হচ্ছে তাতে পঞ্চায়েতের তরফে ঠিকমতো নাগরিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করছেন শাসক-বিরোধী দু’পক্ষের জনপ্রতিনিধিরাই।
এক সময় ৩০টি ওয়ার্ড নিয়ে গড়ে উঠেছিল শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যালটি। পরে আরও ১৭টি ওয়ার্ড সংযোজিত হয়ে শিলিগুড়ি পুরসভা উন্নীত হয় কর্পোরেশন বা পুরনিগমে। এখন শিলিগুড়ি পুরনিগমের যা আয়তন তার মধ্যেই ক্রমশ বাড়ছে জনসংখ্যা, গাড়ি। পাশাপাশি লাগোয়া এলাকাতেও পড়ছে তার ছাপ। দাগাপুর, চম্পাসারি, মাটিগাড়া এলাকার উপনগরী ও লাগোয়া অংশে দ্রুতগতিতে নগরায়ণ চলছে। মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের মতে, ওই এলাকাগুলোকে পুরসভার অন্তভুর্ক্ত করা জরুরি। তাঁর মতে, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকাকেও পুরসভা করা উচিত। তবে তার আগে শিলিগুড়ি পুরসভার পরিকাঠামো বৃদ্ধিও জরুরি বলে মনে করছেন মেয়র। শিলিগুড়ি পুর কর্পোরেশন হলেও পরিকাঠামো পুরসভার স্তরে রয়েছে বলে অভিযোগ। কর্মী, আধিকারিকের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। মেয়র বলেন, ‘‘আঠারোখাই এলাকাকে পুরসভার করার জন্য আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার সময় চেষ্টা করেছি। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা ঘোষণা করা যায়নি।’’
সম্প্রতি মাটিগাড়ার বিধায়ক শঙ্কর মালাকার বিধানসভায় দাবি করেন, বিধাননগরের মতো করে আঠারোখাই ও মাটিগাড়াকেও আলাদা টাউনশিপ করা হোক।
আঠারোখাই এলাকা পুরসভা হোক, তা চান শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারও। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিনের দাবি শিবমন্দির-আঠারোখাই এলাকাটি পুরসভায় উন্নীত হোক। তাতে কাওয়াখালি এলাকাও অনেকটা আসতে পারে।’’ তিনি জানান, ডাবগ্রাম-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অনেকটা বড় এলাকা। এখানেও অনেক উন্নয়ন হয়েছে। রঞ্জনের দাবি, এই এলাকায় জনসংখ্যা বাড়ছে তাই আলাদা করে পুরসভা গঠন করা হোক।
আঠারোখাই পঞ্চায়েত, লোয়ার বাগডোগরা পঞ্চায়েত শাসকদলের দখলে রয়েছে। আঠারোখাইয়ের পঞ্চায়েত প্রধান অভিজিৎ পালের কথায়, ‘‘যেভাবে এই এলাকায় জনবসতি, বহুতল গড়ে উঠেছে তাতে পঞ্চায়েতের পক্ষে নিয়মিত সাফাই, পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।’’ লোয়ার বাগডোগরা পঞ্চায়েতের মধ্যে বাগডোগরা বিমানবন্দর, বিহার মোড় পড়ে। সেখানেও পুরসভা করার দাবি উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy