ধস সরানোর চেষ্টা চলছে। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার রাতে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে ধস নামল দার্জিলিং জেলার সেবকের বাকপুল ও কালিঝোড়ার মাঝের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। বিচ্ছিন্ন হল শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যান চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ধসের কারণে, দু পাশেই আটকে রয়েছে বহু গাড়ি। প্রশাসনের তরফ থেকে ধস সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
গত কয়েক দিনের বিরামহীন বৃষ্টিপাতের ফলে গোটা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে জলস্তর উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। ডুয়ার্সেরও বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। গোটা পাহাড় জুড়েই ছোট-বড় ধস নেমেছে। কয়েক দিন আগেও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামায় শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
সোম-সকালেও তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে তিস্তা নদীর সংরক্ষিত এলাকায় দোমহনী থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও রবিবার রাতের বৃষ্টিতে উধাও আস্ত একটি ব্রিজ। রাতভর প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার বালাসনের ডাইভারশন ব্রিজের উপর দিয়ে জল বইতে থাকে৷ সকালে সেই ব্রিজ জলের তলায় ডুবে এক প্রকার উধাও হয়ে যায়। গত বছরের বর্ষায় মাটিগাড়া বালাসনের তিন নম্বর পিলার নষ্ট হওয়ার ফলে যাতায়াতের সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই সেতুর উপর থেকে চাপ কমাতে বালাসন ব্রিজের পাশেই বিকল্প হিসাবে ডাইভারশন ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছিল। বড় গাড়ি ঘুরপথে শহরের বাইরে এলেও ছোট যানবাহনগুলি এই বিকল্প ব্রিজ দিয়েই যাতায়াত করত। সোমবার সকাল থেকেই সেটাও বন্ধ হওয়ার ফলে ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy