কেএলও বাহিনীর সঙ্গে জীবন।
এক দিকে দিল্লি ও গুয়াহাটিকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন জীবন সিংহ। অন্য দিকে, সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য সংগঠনেরই এক সদস্যের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন বলে পুলিশ গোয়েন্দাদের ট্রান্সমিটারে ধরা পড়েছে। সেই কথাবার্তা থেকে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা মনে করছেন, উত্তরবঙ্গ জুড়ে নতুন করে জাল ছড়ানোর চেষ্টা করছেন জীবন। লক্ষ্যণীয় ভাবে, তিনি যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, সেখানে কোথাও পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই। অথচ কেএলও-র বিচরণভূমি অসমের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে বেশি বিস্তৃত।
জীবন ও তাঁর সঙ্গীর সাম্প্রতিক কথোপকথনের বিষয়টি জানার পরে জীবনের গতিবিধি নজরে আনতে জোরদার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের সন্দেহ, উত্তরবঙ্গে প্রভাব বাড়ানোর লক্ষ্যে মায়ানমার সীমান্ত থেকে এগোনোর চেষ্টা করছেন জীবন। তাঁর সংগঠনের সদস্যরা ভুটান পাহাড়েও ঘাঁটি তৈরি করতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সে দিকেও নজর দিতে করেছেন গোয়েন্দারা। কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “কেএলও নিয়ে সবসময়ই নজরদারি রয়েছে।”
গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়কাল থেকে পর পর কয়েকটি ভিডিও বার্তা দেন কেএলও প্রধান জীবন। তার পরেই রাজ্য ও কেন্দ্রের একাধিক গোয়েন্দা এজেন্সি নতুন করে জীবনের খোঁজ শুরু করে। সেই সঙ্গে সংগঠন বিস্তারে কেএলও কী করছে, সে দিকেও নজর দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারে শাসকদলের রাজবংশী সম্প্রদায়ের একাধিক নেতা জীবনের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে রাস্তায় নামেন। কেএলও তৃণমূলের দুই রাজবংশী সম্প্রদায়ের নেতা পার্থপ্রতিম রায় ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে সতর্ক করে হুমকি বার্তাও দেয়। দুই নেতার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, নানা ভাবে জীবন ফের নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ জন প্রাক্তন কেএলও জঙ্গির সঙ্গে সম্প্রতি আলোচনায় বসেন পুলিশ কর্তারা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবন এখন আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেই সংগঠনের অন্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তেমনই এক কথোপকথন গোয়েন্দাদের কাছে পৌঁছয়। সেখানে সংগঠন আরও চাঙ্গা করার কথা আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে শাসকদলের কোন নেতারা কেএলও-বিরোধী কাজ করছেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি পার্থপ্রতিম বলেন, “মানুষকে ভয় দেখিয়ে কোনও কাজ হয় না। তাই কেএলও-র কথায় কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। মানুষ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy