চন্দ্রযান ২।
গত ২২ জুলাই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর উদ্যোগে চন্দ্রযান-২য়ের সফল উৎক্ষেপণ হয়। ইটাহারের কাপাসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর এলাকার বাসিন্দা রৌশন আলি সেই চন্দ্রযান তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি ওই মহাকাশযানের মেকানিক্যাল বিভাগের বিভিন্ন অংশ তৈরি করেছেন। তাই শুক্রবার সকাল থেকে কাপাসিয়া উত্তেজনায় অধীর হয়ে ছিল। গর্বে ফেটে পড়েছেন কাপাসিয়ার মানুষ।
রৌশনের মামা গোলাম বলেন, ‘‘বুধবার রাতেও রৌশন আমাকে ফোন করেছিল। দুশ্চিন্তার জেরে গত এক সপ্তাহ ধরে রৌশনের ঠিক মতো ঘুম ও খাওয়াদাওয়া হচ্ছে না বলে ও আমাকে জানিয়েছে।’’ গোলামের দাবি, ইসরোয় থাকাকালীন রৌশনের অপরিচিত কারও সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার উপরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমনকি, পরিবারের লোকেদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে হলে সরকারি নিয়মে তাঁকে রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে তাঁদের ফোন করতে হয়। সেই কারণে, দিনভর রৌশন ফোন ধরেন না। পাশাপাশি, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলে ফোন ধরেন না।
রৌশনের বাবা মইসুদ্দিন আহমেদ অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী। মা আনেশা বিবি গৃহবধূ। রৌশনের এক দিদি ও দুই বোন।
গোলাম জানিয়েছেন, ১৯৯৪ সালে ইটাহারের চূড়ামণ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন রৌশন। এরপর ১৯৯৬ সালে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও ১৯৯৯ সালে ওই কলেজ থেকেই পাসকোর্সে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক হন রৌশন। ২০০২ সালে মালদহ পলিটেকনিক কলেজ থেকে তিনি মেকানিক্যাল বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। ২০০৪ সালে ইসরোর মেকানিক্যাল বিভাগে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় সফল হন রৌশন। এরপর তিনি ইসরোয় মেকানিক্যাল বিভাগে ইঞ্জিনিয়ারের পদে যোগ দেন।
চন্দ্রযান প্রকল্পে কাজ করতে শুরু করার পরে রৌশন যে নিজেও খুবই গর্বিত বোধ করতেন, সে কথা পরিবারের লোকজনকে জানিয়েছেন বারবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy