থমকে: সাফারি বন্ধ চিলাপাতায়। ছবি: নারায়ণ দে
জলদাপাড়ার অন্যত্র চালু রয়েছে অনেক দিন থেকেই। কিন্তু একই নিয়মে চিলাপাতাতেও বন দফতর এ বার বৃহস্পতিবার করে পর্যটকদের জন্য ‘কার সাফারি’ বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সেখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, বিনা নোটিসে বনকর্তারা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জঙ্গল দেখার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যটকরাই। বনকর্তাদের অবশ্য যুক্তি, চিলাপাতা যে হেতু জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অধীনে পড়ে, তাই সেখানেও যে একই নিয়ম বলবৎ হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।
যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে লজ বা হোম স্টেও। চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটি সূত্রের খবর, বছর দশেক আগেও চিলাপাতায় জঙ্গলের ধারে একটি মাত্র লজ ছিল। কিন্তু গত এক দশকে জঙ্গল দেখার নেশায় সেখানে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন লজ ও হোম স্টে। এই মুহূর্তে চিলাপাতায় জঙ্গলের কাছে ৬টি বেসরকারি লজ ও ১৪টি হোম স্টে রয়েছে। আরও একটি লজ ও চারটি হোম স্টে তৈরি হচ্ছে। জঙ্গল বন্ধের তিন মাস সময় বাদ দিলে বছরের বাকি বেশিরভাগ সময়ই সেগুলি পর্যটকদের ভিড়ে ভরে থাকছে। এ বছরই যার ব্যাতিক্রম হয়নি।
কিন্তু চিলাপাতার পর্যটন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এত দিন চিলাপাতায় সপ্তাহে সাত দিনই কার সাফারির সুযোগ পেতেন পর্যটকরা। কিন্তু এ বারে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে জঙ্গল খোলার পরে প্রতি বৃহস্পতিবার করে চিলাপাতায় যে জঙ্গল সাফারি হত, তা বন্ধ রাখে বন দফতর। ফলে বৃহস্পতিবার চিলাপাতায় থাকা পর্যটকদের দিনভর কার্যত লজ বা হোম স্টে-তে বসে সময় কাটাতে হচ্ছে বলে দাবি। চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটির সভাপতি গণেশকুমার শার অভিযোগ, বাইরের পর্যটকরা, বিশেষ করে কলকাতার দিকের লোকেরা এটাই জানেন যে, চিলাপাতাতে রোজই কার সাফারি হয়। সেই অনুযায়ী তাঁরা পরিকল্পনা করে চিলাপাতা ঘুরতে আসেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার এই সাফারি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই দিন যাঁরা এখানে থাকছেন বা যাঁরা অন্য জায়গা থেকে আগাম পরিকল্পনা করে আসছেন, সকলেই বিপাকে পড়ছেন। সোস্যাইটির আহ্বায়ক বিমল রাভার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার করে যে চিলাপাতায় কার সাফারি বন্ধ থাকবে সে ব্যাপারে বন দফতরের তরফে আগাম কোনও নোটিসও দেওয়া হয়নি।
তবে জলদাপাড়ার ডিএফও কুমার বিমলের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী সব জাতীয় উদ্যানই সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকে। সেই অনুযায়ী গত দুই মরসুমই বৃহস্পতিবার করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান বন্ধ থাকছে। দফতরের আরেক কর্তার কথায়, ‘‘জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অধীনে থাকা চিলাপাতার জঙ্গলের ক্ষেত্রে তো আলাদা নিয়ম থাকতে পারে না। হয়তো এতদিন বিষয়টিতে কারও খেয়াল ছিল না। তবে বর্ষার পর জঙ্গল খোলার আগেই সবাইকে এই নিয়ম চালুর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy