বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে এসে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডের সামনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা ও কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা। নারায়ন দে।
বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে ধর্নায় বসলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। কালীপুজোর পরে, আরও বড় আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ দিকে, দীপাবলির আগে বন্ধ কালচিনি চা বাগান না খুললে, ওই বাগানের মালিকের ঘর ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন শ্রমিকেরা।
কালচিনির তিনটি ও বীরপাড়ার দু’টি বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে বুধবার প্রশাসনিক কার্যালয় ‘ডুয়ার্সকন্যা’র উদ্দেশে মিছিল করেন বার্লা। কিন্তু ‘ডুয়ার্সকন্যা’র কিছুটা আগে ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয় জলকামানও। ব্যারিকেডে আটকে রাস্তায় ধর্নায় বসে পড়েন বার্লা। জেলাশাসক তাঁদের সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত ধর্না চলবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, জেলাশাসক আর বিমলা দফতরে না থাকায় অন্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি রাজি হননি।
বার্লার অভিযোগ, “পুজোর আগে, জেলায় একের পর এক চা বাগান বন্ধ হয়েছে। শ্রমিকেরা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। সে সমস্যা সমাধানের জন্য জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে সময় চেয়ে এসেছিলাম আমরা। কিন্তু জেলাশাসক আমাদের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজন মনে করলেন না।” তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার পাল্টা মন্তব্য, “গত পাঁচ বছরে মানুষ জন বার্লাকে দেখেননি। নির্বাচন কাছে আসতেই নাটক শুরু হয়েছে।”
এ দিকে, দীপাবলির আগে বন্ধ কালচিনি চা বাগান না খুললে, ওই মালিকের ঘর ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়ে স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের দফতরে স্মারকলিপি দিলেন শ্রমিকেরা। আজ, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার শ্রম আধিকারিকের দফতরে বাগানের সমস্যা সমাধানে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়ছে। বৈঠক সফল না হলে, বা দীপাবলির আগে বাগান না খোলা হলে, কালচিনি বাগানের মালিকের ঘর ঘেরাও হবে বলে জানিয়ে দেন তৃণমূল, সিপিএম ও আরএসপির শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy