Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

দাড়িভিট পোস্টার খুলে নিল পরিবারই

আদালত নির্দেশ দিয়েছিল দিনকয়েক আগেই। তার পরেও দাড়িভিট স্কুল চত্বর থেকে ব্যানার ও পোস্টার খুলতে দিতে চাননি নিহতদের পরিবারের লোকজন

সরছে: দাড়িভিট স্কুল চত্বর থেকে নিজেরাই পোস্টার ব্যানার খুলে দিলেন নিহতদের পরিবারেরা। মঙ্গলবার দাড়িভিটে। ছবি: অভিজিৎ পাল

সরছে: দাড়িভিট স্কুল চত্বর থেকে নিজেরাই পোস্টার ব্যানার খুলে দিলেন নিহতদের পরিবারেরা। মঙ্গলবার দাড়িভিটে। ছবি: অভিজিৎ পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
দাড়িভিট শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৩২
Share: Save:

আদালত নির্দেশ দিয়েছিল দিনকয়েক আগেই। তার পরেও দাড়িভিট স্কুল চত্বর থেকে ব্যানার ও পোস্টার খুলতে দিতে চাননি নিহতদের পরিবারের লোকজন। সোমবার স্কুল কর্তৃপক্ষ পোস্টার খুলতে গেলে বাধা দেয় পড়ুয়াদের একাংশও। শেষপর্যন্ত বাধা কাটল মঙ্গলবার। নিহতদের বাবা-মায়েরাই নিজের হাতে যাবতীয় ব্যানার-পোস্টার খুলে দেন।

খোলা হল স্কুলের সামনের মাঠে তাঁদের ধর্নামঞ্চও। তবে স্কুলের দ্বিতীয় গেটে তাঁরা যে তালাটা দিয়েছিলেন সেটি খোলা হয়নি। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্র বলেন, ‘‘এ দিন সকালেও বিষয়টি নিয়ে নিহতদের পরিবারগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা আদালতের নির্দেশ মানার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সমস্ত ব্যানার পোস্টার ওঁরা খুলে দিয়েছেন।’’ স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ ফেরাতে শান্তি বিশ্বাস-সহ অভিভাবকদের একাংশের মামলা করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সেই রায়ে আদালত পুলিশ প্রশাসনকে ৪ জানুয়ারির মধ্যে স্কুল থেকে সমস্ত পোস্টার খুলতে নির্দেশ দেয়। পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে স্কুলের চারপাশে পুলিশ পিকেট বসানোরও নির্দেশ দেয় আদালত।

এ দিন তৃণমূল কর্মী শান্তির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান নিহতদের পরিবারের সদস্যেরা। শান্তির পরিবারের সঙ্গে তাঁদের তর্কবিতর্কও হয়। শান্তি জানান, পড়ুয়াদের স্বার্থে মামলা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে ব্যানার খোলার বিষয়ে আমাদের মামলা ছিল না। দাড়িভিটের রাস্তায় নিহতদের পরিবারের দাবি নিয়ে গ্রামবাসী হিসেবে আমরাও ব্যানার লাগিয়েছি। এখন ওঁরা রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়েছেন।’’ বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সহকারী সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের বুঝিয়ে পরিবারের লোকেরা তা খুলেছেন।’’

এ দিন প্রশাসনের কর্তারা কেউ না গেলেও ব্যানার-পোস্টার খুলে নেন নিহত রাজেশ সরকারের মা ঝর্না, বাবা নীলকমল এবং তাপস বর্মণের মা মঞ্জু এবং বাবা বাদল। ঝর্না-মঞ্জুরা জানান, হাইকোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়ে এ দিন স্কুলের ব্যানার, ধর্নামঞ্চ সবই খুলে দিয়েছেন। আগের দিন ছাত্রছাত্রীরা বাধা দিলেও তাদের এ দিন বুঝিয়েই তা খোলা হয়েছে। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা আদালতের রায় মেনেছি। আশা করছি, সরকার আমাদের সিবিআই তদন্তের বিষয়টি মানবে। তবে আমাদের দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীকালে ফের চিন্তাভাবনা করব।’’ এর আগে ব্যানার-পোস্টার খোলার জন্য নিহতদের দুই পরিবারকে একাধিক বার বুঝিয়েও লাভ হয়নি। সোমবার অবশ্য রাজি হয় তারা। এরপর নিহতদের পরিবারের লোকেরা ব্যানার পোস্টার খুলতে গেলে বাধা দেয় ছাত্রছাত্রীরা। অভিভাবকদের দিয়েই পড়ুয়াদের বোঝাতে সচেষ্ট হন মহকুমাশাসক।

অন্য বিষয়গুলি:

Conflicts Daribhit Islampur Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE