বৈঠক থেকে কোচবিহারের নেতাদের নাম ধরে ধরে সতর্ক করেন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে দেওয়ার পরেও চিত্র পাল্টায়নি কোচবিহারে। রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে বিরোধ অব্যাহত রয়েছে। রবিবার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে জিরাণপুর থেকে নাটাবাড়ি পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় উপস্থিত থাকলেও, দলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন না। শুধু তাই নয়, একাধিক জায়গায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাও রয়েছে। সমাজ মাধ্যমেও দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চাপানউতোর চলছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম যদিও বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবেই লড়াই করছি। সব সময় সব নেতার এক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না।”
রবীন্দ্রনাথ ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। দলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বলেন, “কলকাতা থেকে এ দিনই জেলায় ফিরেছি। ট্রেন অনেকটা দেরি হয়। এ ছাড়া এক সামাজিক কর্মসূচিতেই যোগ দিতে হয়েছে। তাই মিছিলে যাওয়া সম্ভব হয়নি।” কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিছুতেই থামছে না। দল মনে করছে, এই দ্বন্দ্বের জেরে এক এর পর এক নির্বাচনে কোচবিহারে খারাপ ফল করেছে তৃণমূল। পুরসভা নির্বাচনে দল ভাল ফল করলেও পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে দলের ফল খারাপ হতে পারে আশঙ্কা করছেন রাজ্য নেতৃত্ব। তা থেকে দলকে বের করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছেন রাজ্য নেতৃত্ব। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের পরে দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে পার্থপ্রতিম রায়কে সরিয়ে গিরীন্দ্রনাথ বর্মণকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। উদয়ন গুহকে জেলা পার্টির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। তার ছ’মাস কাটতে না কাটতেই গত ৮ মার্চ আবারও গিরীন্দ্রনাথকে সরিয়ে পার্থপ্রতিমকে জেলা সভাপতি করা হয়। উদয়নকে সরিয়ে চেয়ারম্যান করা হয় গিরীন্দ্রনাথকে।
তার পরেও দ্বন্দ্বে রাশ টানতে পারেনি রাজ্য নেতৃত্ব। পার্থপ্রতিমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে সরব হন গিরীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ। গিরীন্দ্রনাথ অভিযোগ করেন, তাঁকে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে। তাই তিনি জেলা সভাপতির কোনও কর্মসূচিতে যোগ দেবেন না। এই অবস্থার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় তৃণমূলের রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠক থেকে কোচবিহারের নেতাদের নাম ধরে ধরে সতর্ক করেন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, তার পরেও দ্বন্দ্বে রাশ টানতে কেউ আন্তরিক হচ্ছেন না। দলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “নেত্রীর নির্দেশ সবাইকে মেনে চলতে হবে। তা যত দ্রুত হয় তত ভাল হবে। না হলে পরিণতি ভাল হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy