—প্রতীকী চিত্র।
গভীর রাতে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির হাজতের দেওয়াল ভেঙে পালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল মাদক পাচারে অভিযুক্ত তিন বন্দির বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনায় শিলিগুড়ির পুলিশ মহলে হইচই পড়েছে। ঘটনার পরে, কমিশনারেটের প্রতিটি থানা ও ফাঁড়ির হাজত, লকআপে নজরদারি ছাড়াও সিসি ক্যামেরা সক্রিয় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর।
পুলিশ সূত্রের খবর, লকআপ বা হাজতের পিছনের দেওয়ালের জলের পাইপ থেকে লোহার কলের মুখ থেকে খুলে, তা দিয়ে দেওয়ালের প্লাস্টার ঘসে পর পর পাঁচটা ইট বার করে গর্ত তৈরি করা হয়েছিল। রাতের অন্ধকারে সেখান দিয়ে পালানোর মতলবে ছিল তিন অভিযুক্ত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তারা পালাতে পারেনি। রাতে এক ডিউটি অফিসার আওয়াজ পেয়ে ব্যারাক থেকে সবাইকে ডেকে তুলে, ওই তিন জনকে আটকাতে সমর্থ হন। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তেরা পালানোর ঠিক আগের মুহূর্তে দেওয়ালের বাইরে গিয়ে, গর্তের মুখ ঢেকে দাঁড়ান ওই ডিউটি অফিসার ও তাঁর সঙ্গীরা। গর্তের মুখেই ধরা হয় তিন জনকে। তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ডিউটি অফিসার। সে রাতে অভিযুক্তদের এনজেপি থানায় এনে রাখা হয়। পরে, তাদের শিলিগুড়ি থানাতেও রাখা হয়েছিল।
ঘটনাটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ কমিশনার। তবে কমিশনারেটের এক অন্যতম শীর্ষ কর্তা বলেছেন, ‘‘ফাঁড়ির দেওয়াল ভেঙে পালানোর মতো কাণ্ড এরা ঘটাবে ভাবা যায়নি।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৮ মে আমবাড়ির পুলিশ তিন জনকে ‘মাদক-সহ’ গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দু’জন শিলিগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডের রতনলাল বস্তির বাসিন্দা। আর এক জন আদতে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির বাসিন্দা হলেও মাটিগাড়ার দুর্গামন্দির এলাকায় থাকে। এদের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় পুরনো মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পরে, ধৃতদের হাজতে রাখা হয়েছিল। সেখানে শৌচালয়, জলের ছোট কলও রয়েছে। সেটিকে গোপনে ভেঙে, কলের মুখ ব্যবহার করে যন্ত্রের মতো তৈরি করা হয়। তা দিয়ে পর পর দেওয়ালের প্লাস্টার খুঁড়ে ফেলা হয়। ধাপে ধাপে পাঁচটি ইট খোলা হয়। ৯ মে রাত ১টা অবধি কাজ চলেছিল বলে অভিযোগ। তার পরেই পালানোর চেষ্টা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, সে সন্ধ্যায় অফিসার, কনস্টেবল, সিভিকদেরও নজরে সন্দেহজনক কিছু পড়েনি। তবে বেশি রাতে নিস্তব্ধ পরিবেশে দেওয়ালে ঠোকাঠুকির আওয়াজ পান কর্তব্যরত সাব ইনস্পেক্টর। তাতে তাঁর সন্দেহ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy