Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
coronavirus

কোভিডে মৃত দু’জন, বাড়ছে ভয়

মালদহে শিক্ষিকার মৃত্যুর খবর ছড়াতেই মঙ্গলবার ওই স্কুলে ছাত্রীদের হাজিরা ছিল হাতেগোনা। শোকসভার পর স্কুল ছুটি হয়ে যায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
মালদহ ও ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২১ ০৫:১৫
Share: Save:

নির্বাচনের প্রচার চলছে তুঙ্গে। করোনা-বিধি মানা হচ্ছে না মিটিং, মিছিলেও। তারমধ্যেই করোনা সংক্রমিত দুই মহিলার মৃত্যুতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে। মঙ্গলবার ইসলামপুর কোভিড হাসপাতালে মৃত্যু হয় বছর ৪৭ এর এক মহিলার। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরে গোয়ালপোখরে। এর পাশাপাশি মালদহে মারা যান করোনায় আক্রান্ত এক স্কুল শিক্ষিকা। সোমবার সন্ধেয় মালদহ মেডিক্যালের কোভিড ইউনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। বছর সাতান্নর ওই মহিলা ইতিহাসের শিক্ষিকা ছিলেন।

উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক মণ্ডল বলেন, ‘‘ইসলামপুরের ওই মহিলার পরিস্থিতি গুরুতর ছিল। ভর্তির সময় অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৪২। উপসর্গ দেখে পরীক্ষা করে করোনা পজ়িটিভ থাকায় তাঁকে উর্দু অ্যাকাডেমির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।’’ কার্তিকবাবু আরও জানান, সাধারণত ৯৫ এর নিচে অক্সিজেনের মাত্রা হলে হাসপাতালে রেখে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। ওই মহিলার অক্সিজেনের মাত্রা ছিল অনেকটাই কম।

তবে সরকারি নিয়ম মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ওই মহিলা কবে থেকে অসুস্থ ছিলেন বা অন্য কোথাও চিকিৎসা করিয়েছিলেন কি না সে সবও চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনকে। যদিও এসময় নির্বাচনীয় মিটিং-মিছিল চললেও মাস্ক, স্যানিটাইজার নজরে পড়ছে না। মানা হচ্ছে না সরকারি গাইডলাইনও। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

এরই মধ্যে, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খোলার পরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মালদহে শিক্ষিকার মৃত্যুর খবর ছড়াতেই মঙ্গলবার ওই স্কুলে ছাত্রীদের হাজিরা ছিল হাতেগোনা। শোকসভার পর স্কুল ছুটি হয়ে যায়। মঙ্গলবার জেলায় নতুন করে ২৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এ বছরে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২০।

স্কুল সূত্রে খবর, ওই শিক্ষিকা শেষ স্কুলে গিয়েছিলেন ২০ মার্চ। বাড়ি ফিরে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২৪ মার্চ করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। শরীর আরও খারাপ হয়, শ্বাসকষ্ট বাড়তেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই শিক্ষিকার সুগার, প্রেসার ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় শিক্ষিকা মারা যান।’’

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মৌমিতা প্রামাণিক বলেন, ‘‘অন্যান্য শিক্ষিকাদেরও করোনা পরীক্ষার পর নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। উনি শেষ দিন যে ঘরে পরীক্ষার গার্ড দিয়েছেন সেই ঘরের পরীক্ষার্থীদের সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে তারাও যেন পরীক্ষা করিয়ে নেয়।’’ আরেক শিক্ষিকা বলেন, ‘‘অনেক শিক্ষিকারই কো-মর্বিডিটি রয়েছে। তাঁরা টোটো, বাসে স্কুলে যাতায়াত করেন। এই ঘটনার পর সবাই ভয়ে রয়েছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus COVID19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy