একটি ভামবিড়াল অসুস্থ হয়ে পড়েছিল লোকালয়ে। তা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দিয়েছিলেন বন দফতরে। তা সত্ত্বেও বন দফতরের কর্মীরা অসুস্থ প্রাণীটিকে উদ্ধার করতে আসেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘণ্টা তিনেক কষ্ট পাওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে ভামবিড়ালটির। মঙ্গলবারের ঘটনার জন্য বন দফতরের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
ডুয়ার্সের বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ স্কোয়াড এবং মোরাঘাট রেঞ্জের অন্তর্গত খট্টিমারির গারখুটা এলাকায় অসুস্থ অবস্থায় পড়ে ছিল ভামবিড়ালটি। তা দেখে খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। অভিযোগ, বন্যপ্রাণ বন স্কোয়াডের কর্মীরা জানিয়ে দেন তাঁরা আসতে পারবেন না। মোরাঘাটের রেঞ্জারকে ফোন করলে তিনি দায়সারা ভাবে জবাব দেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বন্যপ্রাণ বিভাগের এই গাফিলতির জেরে প্রায় তিন ঘণ্টা রাস্তার ধারে কাতরাচ্ছিল ভামবিড়ালটি। বেশ কিছুক্ষণ কষ্ট পাওয়ার পর মৃত্যু হয় তার। ভামবিড়ালকে ইতিমধ্যেই লাল তালিকাভুক্ত করেছে আইইউসিএন (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার)। এ রকম বিপন্ন একটি প্রাণীর মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের অভিযোগ, বন দফতরের গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে ভামবিড়ালটির। তাঁদের দাবি, সাধারণ মানুষ বন্যপ্রাণী হত্যা করলে যে ভাবে মামলা দায়ের হয়, বনদফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধেও একই ভাবে মামলা হওয়া উচিত। ঘটনা নিয়ে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেছেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। গাড়ির তেলের সমস্যা কিছুটা মিটলেও পুরোপুরি মেটেনি।’’
দিন কয়েক আগে ধূপগুড়ির ঠাকুরপাঠ সংলগ্ন এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ের পাশে গাড়ির চাকার পৃষ্ট হয়ে পড়েছিল একটি অজগর সাপ। সে ক্ষেত্রেও বন দফতরের কর্মীরা না আসাতেই অজগরটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে সে দিনও ঘটনাস্থলে পৌঁছননি বনকর্মীরা।