জলপাইগুড়িতে রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে নারী সুরক্ষার প্রসঙ্গ তুললেন আরপিএফের ডিজি। ছবি - সন্দীপ পাল।
আর জি কর-কাণ্ডের আবহে এ বার রেলেও একলা মহিলা যাত্রীর নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে আরপিএফ তথা রেল সুরক্ষা বাহিনীকে। সারা দেশেই বাহিনীকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন আরপিএফের ডিজি মনোজ যাদব। বুধবার রেলের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে আরপিএফের ডিজি এসেছিলেন বিশেষ পরিদর্শন ট্রেনে এসেছিলেন জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে।
সম্প্রতি বেশ কিছু এলাকায় রেললাইনে পাথর থেকে গ্যাস সিলিন্ডার রেখে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। তার ফলে, ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে বলেও দাবি। মূলত, সে প্রবণতা আটকাতেই রেল সুরক্ষা বাহিনীর সর্বোচ্চ আধিকারিক এ দিন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বিভিন্ন ডিভিশন পরিদর্শন করেন। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে এসে আরপিএফ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিজি। সেখানে দেওয়া হয়েছে একলা মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার দেওয়ার বার্তাও। আরপিএফ সূত্রের খবর, আর জি কর-কাণ্ডের পরে, মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এক প্রস্ত নির্দেশ এসেছিল। এ বার সাধারণ নিরাপত্তা নিয়ে পরিদর্শনেও ডিজির মুখে বার বার ফিরে এল মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ। এ দিন আরপিএফের এক আধিকারিকের কথায়, “রেলে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তায় গাফিলতি থাকা উচিত নয়, সে কথা ডিজি নানা ভাবে বুঝিয়েছেন।”
এ দিন আরপিএফের ডিজি বলেন, “ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের, বিশেষ করে একা মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তায জোর দেওয়া হচ্ছে। সে কথা আলোচনা হয়েছে। মহিলাদের নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার।” আর জি কর আবহে ডিজির মন্তব্য, “একা মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তায় মূলত তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।” একা মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হবে কী ভাবে, সেটিও স্পষ্ট করেছেন ডিজি। প্রথমত, ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় একলা কোনও মহিলা যাত্রী থাকলে আসন সংরক্ষণ তালিকা থেকেই আগেভাগে জানা যায়। সে তথ্য এসে পৌঁছবে আরপিএফের কন্ট্রোল রুমে। সে মতো ট্রেনে আরপিএফের জওয়ানদের সতর্ক করে দেওয়া হবে। জওয়ানেরা সে কামরায় নজরদারি চালাবেন। প্রতি স্টেশনেও ওই মহিলা যাত্রীর খোঁজখবর নেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত মহিলা যাত্রীদের ‘মেরি সহেলি’ নামে রেলের নিজস্ব ‘অ্যাপ’ মোবাইলে রাখতে রেলের থেকে সচেতনতা প্রচার চলছে বলে ডিজি জানিয়েছেন। এই অ্যাপে মহিলা যাত্রী নিজের তথ্য দিলে আরপিএফ সরাসরি যোগাযোগ রাখে। তৃতীয়ত, রেলের ‘হেল্পলাইন’ রেল-মদতের নম্বর সব কামরায় লিখে রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy