হুড়োহুড়ি: আধার সংশোধনের জন্য মঙ্গলবার সকালে মালদহ জেলা ডাকঘরের সামনে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
আধার কার্ডে নামে ভুল। তা ঠিক করতে মঙ্গলবার ভোরে মালদহের প্রধান ডাকঘরে হাজার হাজার মহিলা-পুরুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মহদিপুরের আয়েশা খাতুন। খালি পেটে টানা ছ’ঘণ্টার অপেক্ষা, ভিড়ে হুড়োহুড়ির জেরে লাইনেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে স্বাভাবিক হন তিনি।
শুধু আয়েশাই নন, এ দিন আধার কার্ড সংশোধনের তারিখ ‘নিতে’ মালদহের প্রধান ডাকঘরে বিরাট লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হন একাধিক জন। অভিযোগ, হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় ডাকঘরে। লাঠি উঁচিয়ে সামলায় পুলিশ। ভিড় নিয়ে ডাকঘরের আধিকারিকের সঙ্গে বচসাও হয় এক পুলিশকর্তার।
পুলিশের অভিযোগ, আগে থেকে তাঁদের জানানো হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হত না। যদিও পুলিশ-প্রশাসনকে আগেই জানানো হয়েছিল বলে দাবি মালদহ ডাকঘরের কর্তা অমলকুমার ঘোষের। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন নাম সংশোধনের জন্য তারিখ দেওয়া হচ্ছে। সেই অনুযায়ী ডাকঘরে কার্ড সংশোধন করা যাবে। পুলিশ-প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে আগেই জানানো হয়েছিল।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, এনআরসি, নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আশঙ্কা ছড়িয়েছে সীমান্তবর্তী জেলা মালদহে। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ডাকঘর— আধার কার্ড নাম সংশোধনের ভিড় জমছে। সে জন্য রাত থেকেই হাজার হাজার মানুষের লাইন পড়ছেসে সব জায়গায়।
এলাকাবাসী জানান, মালদহের প্রধান ডাকঘরে মঙ্গলবার নাম সংশোধনের জন্য তারিখ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। সোমবার রাত ২টো থেকে লাইন পড়তে শুরু করে। এ দিন সকালে ডাকঘর থেকে সেই লাইন জেলাশাসকের বাংলো ছাড়িয়ে বৃন্দাবনী ময়দান পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার দূরে পৌঁছে যায়। হাজারখানেক মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগ, নিজেদের মধ্যেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। হুড়োহুড়ি করে একে অন্যের উপরে পড়ে একাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই লাইনের জেরে যানজট ছড়ায় ডাকঘর মোড় এলাকায়।
আয়েশা বলেন, ‘‘ডাকঘরের দরজা খুলতেই লাইনে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় চোখে অন্ধকার দেখলাম।’’ ইংরেজবাজার শহরের সন্ধ্যা সরকার বলেন, ‘‘আধার কার্ড আমরা নিজেরা বাড়িতে তৈরি করেনি। সরকারই করে দিয়েছে। ভুল ঠিক করার দায়িত্ব সরকারেরই। সরকারের উচিত সে জন্য আলাদা শিবির খোলা।”
বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। অভিযোগ, থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের সঙ্গে ডাকঘরের কর্তা অমলকৃষ্ণ ঘোষের বচসাও হয়। এর পরেই মাইকিং করেন আইসি অমলেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সকলের নাম নথিভুক্ত করা হবে। সে জন্য ডাকঘরে চারটি কাউন্টার খোলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy