শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সড়কের উপর গাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সোনা। — নিজস্ব চিত্র।
পাচারের আগেই প্রায় ১৪ কেজি ২৮১ গ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত করল শিলিগুড়ি ডিআরআই। ঘটনায় ভিন্রাজ্যের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা ও অন্য জন পুরুষ। ধৃতরা মিজোরামের বাসিন্দা। শুক্রবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, মিজোরামের ধৃত দুই বাসিন্দা চোরাপথে মায়ানমার থেকে কলকাতায় পাচারের উদ্দেশে বিপুল পরিমাণ সোনা আনছিলেন। ডিআরআই সূত্রে খবর, ইন্দো-মায়ানমার সীমান্ত হয়ে ওই বিপুল পরিমাণ সোনা এ দেশে নিয়ে আসা হয়। এর পর তা হাত বদল হয়ে কলকাতার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার ছক কষা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে নয়া পন্থাও অবলম্বন করা হয়। জানা গিয়েছে, একটি ছোট চার চাকার গাড়ির তলায় বিশেষ চেম্বার তৈরি করিয়ে তাতে লুকিয়ে সোনা পাচারের পরিকল্পনা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তা বানচাল হয়ে গেল। পাচারের সুবিধার জন্য সোনা গলিয়ে পাইপ আকৃতির করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ি ফাটাপুকুরের কাছে জলপাইগুড়িগামী জাতীয় সড়কে অভিযান চালিয়ে নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়িটি আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয় ১৩টি সোনার পাইপ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৮ কোটি ৬১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী ত্রিদীপ সাহা বলেন, ‘‘ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ৷ দু’জনেই মিজোরামের বাসিন্দা। একটি গাড়িতে বিশেষ চেম্বার বানিয়ে সোনাগুলিকে পাইপ বা সিলিন্ডারের মতো আকৃতি দিয়ে তা পাচার করা হচ্ছিল৷ প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা মূল্যের সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আজ (শুক্রবার) ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। তাঁদের জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy