Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ramadan month

রোজার শুরুতে ফলে পুড়ছে হাত

শুক্রবার থেকে শুরু করছেন রমজান মাসের উপবাস। এই সময় উপবাসের পরে, পুষ্টিকর আহার হিসেবে ফল থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের জোগান রাখতে হয় সংখ্যালঘু পরিবারগুলিতে।

ইসলামপুরের এক দোকানে ফলের পসরা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

ইসলামপুরের এক দোকানে ফলের পসরা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

মেহেদি হেদায়েতুল্লা
উত্তরবঙ্গ শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ০৮:২২
Share: Save:

ফলের বাজারে গিয়ে মাথায় হাত। আপেল ১৭০-২৫০ টাকা কেজি। খেজুরের দাম ৪০০-৭০০ টাকা। প্রায় সব ফলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আজ, শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। চলবে এক মাস। কিন্তু রমজান মাসের শুরুতেই আচমকা ফলের বাজার তেতে উঠেছে। এই পরিস্থতিতে চিন্তায় সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত বাসিন্দারা। আনুষঙ্গিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরও মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। বেড়েছে আনাজের দামও। ভুক্তভোগীরা জানান, রমজান মাসের শুরুতেই এই হাল। এখনও গোটা মাস বাকি।

আজ, শুক্রবার থেকে শুরু করছেন রমজান মাসের উপবাস। এই সময় উপবাসের পরে, পুষ্টিকর আহার হিসেবে ফল থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের জোগান রাখতে হয় সংখ্যালঘু পরিবারগুলিতে। কিন্তু সে ফল কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে বাসিন্দাদের।

ডালখোলা, ইসলামপুর, করণদিঘি, চাকুলিয়া, ইটাহার-সহ জেলার একাধিক এলাকায় ফলের দাম বৃহস্পতিবার থেকে অগ্নিমূল্য। ফল বিক্রেতাদের তরফে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে, যেখানে কলার ডজন প্রতি দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সেখানে এখন দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আপেলের দাম ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আপেলের দাম এখন প্রতি কেজি ১৭০-২৫০ টাকা। বেদানা ২৫০-৩০০ টাকা। খেজুর ৪০০-৭০০ টাকা। একটি তরমুজের কম করে দাম ৯০-১০০ টাকা।

পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর আজিজুর রহমানের কথায়, “রোজা রেখেও দিনমজুরি কাজ করি। আমাদের সারা বছর ফল খাওয়ার সুযোগ মেলে না। রমজান মাস এলেই ফল খাই। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যবসায়ী এমন ভাবে ফলের দাম বাড়িয়ে দেন, যে বিপদে পড়তে হয়।’’ ডালখোলার বাসিন্দা তবরেজ আলম বলেন, “রোজার ইফতারের জন্য বাজারে ফল কিনতে গিয়ে দেখছি এক ধাক্কায় দাম তেতে উঠেছে। ফল কিনতে গিয়ে পকেটে টান পড়ছে।’’

বিক্রেতাদের দাবি, পেট্রল-ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ফল, আনাজ সব কিছুতেই পরিaবহণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, পেট্রল-ডিজ়েলের মূল্য বাড়লেও সেই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা করার জন্য ইচ্ছা মতো ফলের দাম হাঁকছেন। বিষয়টিতে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত জেলা প্রশাসনের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু রোজা পালনকারীরাই নন, ফলের উপরে নির্ভরশীল বহু রোগী ও শিশুরাও। ফলের দামে হাত পুড়ছে সকলেরই। মহকুমাশাসক (ইসলামপুর) আব্দুল শাহিদ বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই বাজারে অভিযানে নামা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

ramadan month Fruits
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE