আগামী এপ্রিল মাসে প্রথম দিকেই কেন্দ্রের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে পাহাড়ের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) কর্তৃপক্ষ।
জিটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত রিপোর্ট প্রায় শেষের মুখে। আগামী দশদিনের মধ্যে তা দিল্লিতে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের যে সংস্থা প্রকল্পের কাজ করেছে, তারা প্রকল্পটি খুব সুন্দরভাবে তৈরি করেছে।
জিটিএ-র শিক্ষা দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য রোশন গিরি জানান, শনিবার দার্জিলিঙের একটি হোটেলে সংস্থাটির তরফে পুরো প্রকল্পটির কীভাবে হবে, তাতে কী কী থাকবে তা দেখিয়েছে। তিনি বলেন, “এপ্রিলের প্রথমের আমরা তা মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দেব।”
জিটিএ সূত্রের খবর, ইডিসিআইএল নামের ওই কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাটির প্রকল্পটির কাজ করছে। সংস্থাটি শিক্ষা এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন পরিকাঠামোর কাজ করে থাকে। দেশের মধ্যে ছাড়াও বিদেশেও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংস্থাটি কাজ করে। ২০১১ সালে জিটিএ চুক্তিতে পাহাড়ের জন্য আলাদা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এর পরে একাধিকবার জিটিএ প্রতিনিধিরা দিল্লি সফরে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে তদ্বির করেন। গত ১৯ মার্চ জিটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে কথাবার্তা বলেন। তার আগে জানুয়ারি মাসে জিটিএ সদস্যরা অর্থমন্ত্রী অরুণ জেঠলি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে দেখা করে দ্রুত কাজ শুরুর জন্য অনুরোধ করেন।
মংপুর সিঙ্কোনা বাগানের ৫০০ একর জমিতে ওই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে চাইছেন জিটিএ কর্তৃপক্ষ। রোশন গিরি জানান, মংপুতে জমি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো তৈরির সমস্ত সুবিধা সেখানে রয়েছে। প্রকল্পের খরচ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক থেকে চূড়ান্ত করে জানানো হবে।
অন্যদিকে, মোর্চার তিন যুব নেতাকে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বহিস্কার করার কথাও মোর্চার তরফে এ দিন ঘোষণা করা হয়েছে। জিটিএ সদস্য তথা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানান, ওই তিন জন দলের কালিম্পং ইউনিটের সদস্য ছিলেন। সন্তোষ ভুজেল, প্রভাত ঘিসিঙ্গ এবং কুনাস প্রধানকে দল বিরোধী কাজের দল বহিস্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তৃণমূল থেকে ফের দলে আসা নন্দিতা গৌতমকে কালিম্পং মহকুমা কমিটির সম্পাদক করা হয়েছে।
স্ত্রী’কে খুনে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁচলঃ হাঁসুয়ার কোপে ঘুমন্ত স্ত্রীকে দ্বিখণ্ডিত করে সকলকে ডেকে দেখিয়েছিল স্বামী। তাকে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেন বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। মালদহের চাঁচল থানার আলাদিপুর গ্রামে রবিবার ভোররাতে ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। ধৃত পাণ্ডব মণ্ডল বেশ কিছুদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে ধৃতের পরিবার সূত্রে জানতে পেরেছে পুলিশ। রাতেই পুলিশ তার স্ত্রী শঙ্করীদেবীর দেহ উদ্ধার করে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy