Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

‘মন্ত্রীই বলুন কে ঠাকুর ঘরে, কে কলা খেয়েছে?’ কটাক্ষ মেয়রের

মেয়রের দাবি, বিধান মার্কেটে অবৈধ নির্মাণ ঠেকাতে পুরসভা এবং এসজেডিএর যৌথ উদ্যোগ জরুরি।

পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে অভিনন্দন জানিয়ে ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র

পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে অভিনন্দন জানিয়ে ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০৪:০৯
Share: Save:

বিধান মার্কেটের অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেওয়ায় এবং তা নিয়ে তৎপর হওয়ায় এ বার পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে অভিনন্দন জানিয়ে ফ্লেক্স ঝুলল শহরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের হিলকার্ট রোড-সহ কয়েকটি জায়গায় শিলিগুড়ির নাগরিকবৃন্দরে তরফে তা লাগানো হয়েছে। কিন্তু এই নাগরিকবৃন্দ কারা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগে দুপুরে পুরসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে অবশ্য মন্ত্রীর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, পর্যটন মন্ত্রী-নান্টু পালের তরজায় বিধান মার্কেটে অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করার চেয়ে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল এবং অহংকারের লড়াই প্রাধান্য পাচ্ছে। ঠাকুরঘরে কে, কে কলা খেয়েছে কে খায়নি, তা মন্ত্রী পরিষ্কার করুন, বলেছেন মেয়র।

অশোকের কথায়, ‘‘বিধান মার্কেটে অবৈধ নির্মাণ বন্ধকে কেন্দ্র করে মন্ত্রী এবং তার দলের এক কাউন্সিলরের বাদানুবাদ দেখতে পাচ্ছি। কে ঠাকুর ঘরে, কে কলা খেয়েছে, কে খায়নি, কারা শহরকে বেচে দিতে চাইছে— মন্ত্রী প্রকাশ্যে সব জানান। অবৈধ নির্মাণ রোধে মন্ত্রীর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অবৈধ নির্মাণকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাতে জল ঢেলে দিয়েছেন তিনি। মিথ্যে হম্বিতম্বি করছেন।’’

মেয়রের দাবি, বিধান মার্কেটে অবৈধ নির্মাণ ঠেকাতে পুরসভা এবং এসজেডিএর যৌথ উদ্যোগ জরুরি। এটা পর্যটনমন্ত্রীর দফতরের বিষয় নয়। কেন না বিধান মার্কেটের জায়গাটি এসজেডিএর এবং সেখানকার দোকান থেকে ভাড়া সংগ্রহ করে পুরসভা। অথচ মেয়র বা মেয়র পারিষদদের প্রতিনিধি না ডেকে সমস্যা মেটাতে ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে কেন রাখা হয়েছে, তা নিয়েও আপত্তি জানান মেয়র। তাঁর দাবি, বিরোধী দলনেতা কখনওই পুরসভার প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন না। পুর কমিশনারকে বৈঠকে পাঠানো হয়েছিল। এমন হলে তিনি আর পাঠাবেন না বলে জানান।

মন্ত্রী পাল্টা বলেন, ‘‘শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। সেগুলো এত দিনে কেন ভাঙেনি পুরসভা? সেগুলো কি মেয়রের চোখে পড়েনি? আমরা আট বছর ক্ষমতায়। তার আগে তো অশোকবাবুরাই ছিলেন। শহরে নদীর চর দখল থেকে বোইনি নির্মাণ সবই বাম জমানায় হয়েছে। এর জন্য তাঁরাই দায়ী। এখন অন্য কাউকে দায়ী করলে হবে না।’’ মন্ত্রীর দাবি, ‘‘আমাকে এক্তিয়ার শেখাতে হবে না। সাংবিধানিক ভাবে মন্ত্রী হিসেবে সে সব জানা আছে। যা করছি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে, তাঁর নির্দেশ নিয়েই করি।’’

আগুনে পুড়ে যাওয়া সাতটি দোকানের জায়গায় অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে বিধান মার্কেটে। মন্ত্রী তা দেখতে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রকাশ্যে তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। কয়েক জন এ সব করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছেন বলে জানান। তখন মন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তিনি ‘বাস মিস করেছেন’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মেয়র।

অন্য বিষয়গুলি:

Goutam Deb Illegal Condtruction Bidhan Market TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy