গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছাড়া পেয়ে বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী ছুরিকাহত তনুশ্রী চক্রবতী। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই তাঁর উপরে হামলা করার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অলোক মণ্ডলের বিরুদ্ধে। গলায় গভীর ক্ষত নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হন তিনি। মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় স্বস্তিতে তনুশ্রীর পরিবার। স্বস্তি প্রকাশ করেন অভিযুক্ত অলোক মণ্ডলের মা আদরি মণ্ডলও। তবে জখম অলোক এখনও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, অলোক চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তাঁকে স্যালাইন ছেড়ে তরল জাতীয় খাবার দেওয়া হচ্ছে। তবে অলোকের কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ বর বলেন, “মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁকে কিছু নিয়মের মধ্যে থাকতে বলা হয়েছে। ছেলেটিকে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটেই রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তিনিও আশা করছি, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “তনুশ্রীর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা খুবই আনন্দের। অলোকও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, সে প্রার্থনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় তনুশ্রীর পাশে সব সময় আছে।”
দুপুরে বড় ছেলে বিলালের সঙ্গে হাসপাতালে দাঁড়িয়ে আদরি বলেন, “ছোট থেকে অলোক কারও সঙ্গে মারামারি, গোলমালে জড়ায়নি। সে ছেলেই একটি মেয়েকে আঘাত করে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। ভাবলেই খুব খারাপ লাগছে। মেয়েটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ায় ভাল লাগছে।” মন্তব্য করতে চাননি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় সিমেস্টারের ছাত্রী তনুশ্রী। তাঁর বাবা দুলাল চক্রবতী বলেন, “ডাক্তারেরা সাত দিন পরে মেয়েকে হাসপাতালে ডেকেছেন। ওর সেলাই পুরোপুরি কাটা হয়নি। মেয়েকে বেশি কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy