টাইগার হিল।
হুঁশিয়ারি আগেই দেওয়া হয়েছিল। সোমবার পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে দাবিদাওয়া নিয়ে কোনও সদুত্তর না মেলায় মঙ্গলবার থেকে টাইগার গিল বন্ধ করার ডাক দিয়ে দিল গোর্খা গাড়িচালক সংগঠন। হোটেল মালিকদেরও এই বয়কটের ডাকে সম্মতি জানানোর আহ্বান করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
শনিবার দার্জিলিং প্রেস গিল্ডে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন সাগর। তাঁর অভিযোগ, টাইগার হিলের উন্নয়নের স্বার্থে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে টাকা আদায় করে আসছে পর্যটন, পুলিশ ও বন দফতর। পর্যটকদের গাড়ি থেকে নেওয়া হয় ১০ টাকা করে। পর্যটন ও বন দফতরও পর্যটক পিছু ৫০ টাকা করে নেয়। তার পরেও পরিকাঠামোর কোনও উন্নতি হয়নি। কোনও সুযোগ সুবিধাই পান না পর্যটকেরা। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নজরমিনার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তা এখনও হয়নি। রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ। সামান্য চা-কফির দোকানও নেই। তাঁর কথায়, ‘‘পর্যটকেরা এখানে থাকবেন কী করে? পর্যটকদের জন্য সুযোগ সুবিধা তৈরি করে দিতেই হবে। কবে রাস্তা তৈরি হবে? কবে তৈরি হবে নজরমিনার? সোমবারের মধ্যে উত্তর না মিললে মঙ্গলবার থেকে টাইগার হিল বন্ধ করে দেব।’’
সূত্রের খবর, সোমবারের বৈঠকেও দাবিদাওয়া নিয়ে কোনও আশ্বাস না মেলায় টাইগার হিল বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সাগর বলেন, ‘‘হোটেল মালিকদের সংগঠনের কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারাও আমাদের সঙ্গে আসুন। প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও উত্তর মেলেনি বলেই পর্যটকদের স্বার্থে আমরা বয়কটের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।’’
গোর্খা চালক সংগঠনের দাবিদাওয়ায় যৌক্তিকতা থাকলেও বয়কট সমর্থনযোগ্য নয় বলেই জানিয়েছেন জিটিএ সভাসদ তথা জিটিএ পর্যটন বিভাগের প্রধান নরদেন শেরপা। তিনি বলেন, ‘‘আমি শুনেছি। আসলে সমস্যা অনেক দিনের। এটা সত্যি। ভিউ পয়েন্টে কোনও রকম সুযোগ-সুবিধা নেই। রাস্তাঘাট খুবই খারাপ। তবে ইতিমধ্যেই পুলিশ টাকা নেওয়া বন্ধ করেছে। কিন্তু পর্যটন দফতর এবং বন বিভাগ টাকা নিচ্ছে। অন্য দিকে, ভিউ পয়েন্টে পৌঁছনোর জন্য বিকল্প রাস্তার কাজ চলছে। ৬০ শতাংশ তৈরিও হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কাজের টেন্ডার হয়েছে। তবে এখনই সবটা শেষ হয়নি৷ কিন্তু এ ভাবে টাইগার হিল বয়কট করা যায় না। আমরা ওদের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy