বাগডোগরা বিমান বন্দর। —ফাইল চিত্র।
একশো একর জমি অধিগ্রহণ ও সমীক্ষা শেষ করার পরে, অবশেষে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা খরচ করে বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন আর পরিকাঠামো উন্নয়নের টেন্ডার করা হল। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত শনিবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ (এএআই)। এএআই-র দিল্লির কর্পোরেট সদর দফতরের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট থেকে টেন্ডার (২০২৩-এএআই-১৬৭৫৬৯-১) করা হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে টেন্ডার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। নতুন বছরের শুরুতেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের ভোলবদলের কাজ শুরু হতে চলেছে।
এএআই সূত্রের খবর, প্রায় এক লক্ষ বর্গমিটারের নতুন টার্মিনাল ভবন-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। কাজের জন্য ৩০ মাসের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। ২০২৪ সালের গোড়ায় কাজ শুরু হলে, শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গবাসী নতুন বাগডোগরা বিমানবন্দর ২০২৬ সালের পুজোর আগে পেয়ে যাবেন। বিমান মন্ত্রক বাগডোগরার জন্য ১,৮৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছে। এই টেন্ডারে ৯৫০.৪৫ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দিল্লি থেকেই যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা মহম্মদ আরিফ কাজ শুরু নিয়ে কিছু বলেননি। তবে এএআই-র আঞ্চলিক দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘কয়েকটি ধাপে বিমানবন্দরটি অত্যাধুনিক মানের তৈরি হবে। প্রথম টেন্ডারে নির্মাণ ও কাঠামো রয়েছে। এর বাইরেও প্রচুর কাজ তিন বছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’’
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, নতুন বিমাবন্দরে কলকাতা বিমানবন্দরের মতো বিশাল টার্মিনাল ছাড়াও, বিমানের ‘পার্কিং বে’, ‘ট্যাক্সিওয়ে’, ফায়ার স্টেশন, অ্যাপ্রোন কন্ট্রোল টাওয়ার, সিকিউরিটি কেবিন, ওয়াচ-টাওয়ার, নেভিগেশন বিল্ডিং, পার্কিং লট, নিকাশি ব্যবস্থা, অ্যাপ্রোচ রোড ছাড়াও একাধিক কাজ হবে। বর্তমান টার্মিনালটির পরেই নতুন টার্মিনালটি তৈরি হবে। সেখানে যাওয়ার আলাদা রাস্তাও থাকছে। পুরনো টার্মিনাল বিল্ডিং আন্তর্জাতিক ও কার্গো টার্মিনাল হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে।
বর্তমান বাগডোগরা বিমানবন্দরের টার্মিনালের আয়তন প্রায় সাড়ে আট হাজার বর্গমিটার। তাতে বছরে সাড়ে সাত লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ যাত্রী ধারণ করা যায়। কিন্তু ২০১৯ সালেই বাগডোগরার যাত্রী সংখ্যা বছরে ৩০ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। করোনার সময় বিমানবন্দর বন্ধ ছিল। পরে যাত্রী সংখ্যা নেমে গেলেও, এ বছর মার্চে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে আগের জায়গায় পৌঁছেছে। সকাল থেকে বিকেল বিমানবন্দর কার্যত মানুষের ভিড়ে ঠাসা থাকে। দাঁড়ানো বা বসার ঠিকঠাক জায়গা থাকে না। এ বিষয়ে নানা অভিযোগ ও সমস্যার কথাও কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন। কিছু দিন আগে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের দিকে, টার্মিনাল ভবন নতুন করে এগিয়ে নেওয়া হয়। তাতে ৯২২ বর্গমিটার জায়গা বেড়েছিল। দোতলায় রেস্তরাঁ সরিয়ে ‘সিকিওরিটি হোল্ড’ এরিয়া বাড়ানোও হয়। তার পরেও পর্যটন মরসুম, পুজোয় যাত্রীর সংখ্যা ও বিমান চলাচল বাড়ায় নতুন টার্মিনাল ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy