গৌতম দেব। ফাইল চিত্র
দক্ষিণবঙ্গের পর ঝড়-বৃষ্টিতে এবার নাস্তানাবুদ উত্তরবঙ্গও!
সোমবার রাতের ঝড়ে ময়নাগুড়ির ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বেশ কিছু এলাকার। বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার রাতেও ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি, মালবাজার ও রাজগঞ্জ ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ।
সোমবার রাতের ঝড়ে ময়নাগুড়ির ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বহু বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চাল উড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে প্রচুর পরিমাণে কলা গাছ। ভুট্টা, পাট, ঝিঙে, পটল, কোয়াশ চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর। জলপাইগুড়ি শহরেও বেশ কিছু এলাকায় ঝড়ের দাপটে গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না শহরের এক বড় অংশে । বুধবার অবশ্য শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক আছে বলে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে।
অন্য দিকে, পরপর দু’দিন সন্ধ্যায় জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্যাপক ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব শুরু করল আলিপুরদুয়ার প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকে। আলিপুরদুয়ার শহরেও বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
সোমবার সন্ধ্যায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রবল ঝড় হয়। ঝড়ে ফালাকাটা, আলিপুরদুয়ার ১ ও ২ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেক জায়গায় উড়ে যায় বাড়ির চাল। কোথাও ভেঙে পড়ে কাঁচা বাড়ি। বহু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে। খুটি উল্টে যাওয়ায় অনেক এলাকা বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ময়দানে নামে প্রশাসন। যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের হাতে ত্রিপল তুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গায় গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। বিদ্যুতের খুঁটিও নতুন করে বসানো হয় অনেক এলাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফের একবার ব্যাপক ঝড় হয় আলিপুরদুয়ারে।
ফালাকাটা ব্লক প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, দু’দিনে ওই ব্লকে এক হাজার বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বেসরকারি মতে সেই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। এছাড়া ওই ব্লকে ফসলেরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ফালাকাটার বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার বুধবার জানিয়েছেন, টাকার অঙ্কে ক্ষয়ক্ষতি কত হয়েছে, তার হিসাব চলছে।
আলিপুরদুয়ার ২ ব্লক প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস বলেন, ‘‘ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy